শিক্ষা
0

'হঠাৎ ছুটিতে শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম ব্যাহত'

চলমান তাপপ্রবাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়। নির্বাচন কিংবা পরীক্ষাকেন্দ্র হওয়াসহ নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগেও অস্বাভাবিক ছুটিতে ব্যাহত হয় শ্রেণি কার্যক্রম। শিক্ষাবিদরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে হঠাৎ ক্লাস বন্ধ না করে বিকল্প কিছু ভাবতে হবে।

বছরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট কর্মদিবস ১৮৫, এর মধ্যে দুইবার মূল্যায়নের জন্য বরাদ্দ ২৫ দিন এবং অস্বাভাবিক ছুটির জন্য ২০ দিন হাতে রাখা হয়। এই ৪৫ দিন বাদ দিয়ে বছরে ১৪০ দিন কনট্যাক্ট আওয়ার থাকে ক্লাসের জন্য। দেশের শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নকারী সংস্থা (এনসিটিবি) বলছে, নতুন শিক্ষাক্রমে যেন এই ১৪০ দিনের মধ্যেই শেষ হয়, সেভাবেই পাঠ্যবই লেখা হয়েছে।

এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, ‘অপ্রত্যাশিত ছুটিগুলো না থাকলে তো অবশ্যই ভালো হতো। এসব বিবেচনা করেই নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবই লেখা হয়েছে।’

তবে অনেক শিক্ষাবিদ মনে করেন, বছরে ১৪০ দিনের শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীদের জন্য যথেষ্ট নয়। তাই আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে হঠাৎ ক্লাস বন্ধ তৈরি করতে পারে সংকট। এজন্য বিকল্প ব্যবস্থার জন্য ভাবতে বলছেন শিক্ষাবিদরা।

শিক্ষা গবেষক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘দিন এখন বড় হয়ে গেছে। সাড়ে ৬টা কিংবা ৭টায় ক্লাস শুরু করা একদমই সহজ। সে জায়গা থেকে সকালে ক্লাস শুরু হলে দুপুর হতেই শেষ। অনলাইন ক্লাসেও যাওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু আমাদের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিকল্প চিন্তা করলেন না। তারা স্কুল বন্ধ করে দিলেন, আর এটি তো সমাধান হতে পারে না।’

সারাদেশের ভূ-প্রাকৃতিক অঞ্চল ভিন্ন ভিন্ন হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোতে তেমন ভিন্নতা রাখা হয় না।

স্থপতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা এনামুল করিম নির্ঝর বলেন, ‘প্রয়োজনে অবকাঠামোয় পরিবর্তন আনতে হবে। স্থানীয় ভৌগোলিক, প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক চালচিত্র বিবেচনায় তৈরি করতে হবে পাঠসহায়ক ভবন।

এ বিষয়ে একমত শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘অঞ্চলভিত্তিক ভূ-প্রকৃতির কথা চিন্তা করেই আমাদের প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।’

এদিকে এই শিক্ষাবর্ষের শিখন ঘাটতি পূরণে আগামী ৪ মে থেকে শনিবারেও খোলা থাকবে ক্লাস। তবে তীব্র গরমের কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি।