স্থানীয় একজন বলেন, 'পানি নেই টিউবওয়েলে। দুই মাস ধরে পানি নেই। এখানে কেউ দেখতে আসেনি এখনো।'
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে শুধু গরমই বাড়েনি, নিচে নামছে সুপেয় পানির স্তর। পাশাপাশি বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় শুকিয়ে যাচ্ছে জলাশয়। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলা ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় পানিশূন্য হাজারো নলকূপ। প্রতিনিয়তই বাড়ছে সে সংখ্যা। এছাড়া পুকুর, খাল, নদীসহ অন্যান্য জলাশয়ের পানিও শুকিয়ে আসছে। তীব্র হচ্ছে সুপেয় পানি সংকট। ব্যহত হচ্ছে রান্নাসহ গৃহস্থালীর নানা কাজ।
আরেকজন বলেন, 'পানির অভাবে রান্না করতে কষ্ট হচ্ছে। তিনদিন চারদিন পর গোসল করতে হচ্ছে।'
আগে জেলায় ২০ থেকে ২৪ ফুট মাটির নিচে অনায়াসেই মিলতো পানির স্তর। যা এখন ঠেকেছে ৩২ ফুটে। এমন অবস্থায় ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নদী ও খাল খননের মাধ্যমে পানির প্রবাহ ফেরানো গেলে স্বাভাবিক হবে পানির স্তর।’
জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, 'এই জেলার প্রত্যেক উপজেলাতে পানির অভাব দেখা দিচ্ছে। পানির স্তর প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ ফিট নিচে নেমে গিয়েছে।'
১৮ লাখ মানুষের ঝিনাইদহ জেলায় সরকারি উদ্যোগে ১৮ হাজার অগভীর ও ১৭ হাজার গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। যেখান থেকে সুপেয় পানি পান অন্তত এক লাখ পরিবার। তবে এই সুবিধার বাইরে থাকা অন্তত ১৪ লাখ মানুষকে তৃষ্ণা মিটাতে পাড়ি দিতে হয় দীর্ঘ পথ, শিকার হতে হয় নানা প্রতিকূলতার।