প্রবাসী অধ্যুষিত সন্দ্বীপের অবকাঠামোগত উন্নয়নকে এগিয়ে নিচ্ছে বিদ্যুৎ। স্থানীয়রা জানান, পাঁচ বছর আগে সংযোগ পাওয়ার পর এলাকার দৃশ্যপটে পরিবর্তন এসেছে।
আগে সন্ধ্যার পরই হাট-বাজার বা রাস্তার পাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যেত। জনবহুল এলাকাও মনে হত ভূতুড়ে। কিন্তু বিদ্যুতের আলোয় এখন গভীর রাতেও আলোকিত থাকে জনপদ।
স্থানীয়রা বলেন, আগে আমরা সন্ধ্যার পরে দোকান বন্ধ করে ফেলতাম। কিন্তু এখন বিদ্যুৎ আসায় অনেক রাত পর্যন্ত দোকান খোলা রাখি। বিদ্যুৎ আসার কারণে আমরা প্রতিষ্ঠান চালাতে পারছি। অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এলাকার যুবকদেরকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি।
স্থানীয়দের জীবনযাত্রার মতো কর্মসংস্থানের নানা ক্ষেত্রও তৈরি হয়েছে। বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ, প্রশিক্ষণ, ফ্রিল্যান্সিংসহ কিছু খাতে দক্ষ কর্মী তৈরি হচ্ছে সহজেই। ইলেকট্রনিক্স পণ্যেরও ব্যবহার বেড়েছে।
বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন জানান, আগে দুটি পুরোনো জেনারেটরে উৎপাদিত বিদ্যুতে গ্রাহকের সংখ্যা ছিল মাত্র ২ হাজার। সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সংযোগে প্রাথমিক গ্রাহক সংখ্যা ছিল সাড়ে পাঁচ হাজার। জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ পেয়ে বর্তমানে গ্রাহক সংখ্যা ৩৮ হাজার।
বিদ্যুতের কারণে ছোট ছোট শিল্পকারখানার উৎপাদনের ধরনেও এসেছে পরিবর্তন। গড়ে উঠছে ছোটবড় অনেক প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির দাবি, জীবনযাত্রার মানে এসেছে পরিবর্তন।
সন্দ্বীপের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা বলেন, 'আমরা আশা করছি এ বছরের জুনের মধ্যেই বাকিরা বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবেন। আর সন্দ্বীপে কিন্তু একটি ইপিজেড হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১৪ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।'
চারদিকে নদী-সাগর বেষ্টিত দ্বীপ এলাকা সন্দ্বীপ। রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে রয়েছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি।