মাগুরা কালেক্টরেট ভবনের ওপর গাছের জাদুঘর বানানো হয়েছে। জঙ্গল থেকে টবে এলেও স্বভাব পাল্টায় না লজ্জাবতী। স্পর্শে চুপসে যাওয়াই তার স্বভাব। গাছেরও যে লাজ আছে, তা চোখের সামনে দেখার সুযোগ সবার হয় না।
বিলুপ্তপ্রায় এবং বিশেষ বৈশিষ্ট্যের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ সম্পর্কে জানতে প্রায় প্রতিদিনই সেখানে ভিড় করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ দর্শনার্থীরা। প্রতিটি গাছের সাথে দেয়া হয়েছে পরিচিতি। কিউআর কোড স্ক্যান করলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই পাওয়া যায় ওই গাছের জীবন বৃত্তান্ত। এ যেন প্রকৃতির সঙ্গে প্রযুক্তির এক অনন্য মেলবন্ধন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এ বাগানে গাছগুলো দেখে খুব ভালো লাগছে। এখানে অনেক ধরনের গাছ রয়েছে। আমরা এর আগে কখনো দেখিনি। পাশাপাশি একটি পাঠাগার রয়েছে। গাছ দেখার পর বই পড়ারও সুযোগ রয়েছে।
গাছের পাশে দেখা মিলবে মাছেরও। রঙ্গিন মাছের খেলা অ্যাকুরিয়াম নামক কৃত্রিম লেকে। আনন্দ ছুঁয়ে যায় দর্শনার্থীদেরও। ছোট লেকের ওপরে তৈরি করা সেতুটি বিনোদনে ভিন্নমাত্রা যোগ করে।
কিউআর কোড স্ক্যান করলেই মোবাইলে চলে আসবে গাছের বৃত্তান্ত। ছবি: এখন টিভি
দর্শনার্থীরা বলেন, এখানে পুস্তকের বাইরে বাচ্চাদের হাতে-কলমে শেখানোর পদ্ধতি রয়েছে। এই বাগানটিতে এসে শিক্ষার্থীরা গাছ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছে। তাই আলাদা করে শিক্ষা সফরে আর যাওয়া লাগে না। এটা সারাদেশে সবুজায়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।
আয়তনে ছোট হলেও আয়োজনের কমতি নেই বাগানে। প্রদর্শনী প্লট করা হয়েছে কয়েকটি জায়গায়। জেলা প্রশাসক মনে করেন, এমন উদ্যোগে- উদ্যান ফসল ও পারিবারিক কৃষিতেও আগ্রহী হবেন দর্শনার্থীরা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ বলেন, 'বাগানটিতে ৪২২টি প্রজাতির ৬৫০টি গাছ রয়েছে। বাচ্চারা অল্প সময়ের মধ্যেই কিউআর কোডের মাধ্যমে উদ্ভিদগুলো সম্পর্কে জানতে পারছে।'
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সবুজায়নের বিকল্প নেই। কৃষি ও বনায়ন একাধারে প্রকৃতি-পরিবেশ সুরক্ষা এবং খাদ্য সংকট মেটাতে কাজ করে। তাই নবীনদের অংশগ্রহণ এ খাতে আনতে পারে ইতিবাচক পরিবর্তন।