দেশে এখন
0

২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে অন্তত ২শ' সড়ক দুর্ঘটনা

ঈদের ছুটিতে গেলো ২৪ ঘণ্টায় দুর্ঘটনা ঘটেছে অন্তত ২শ' টি। এর মধ্যে শুধু রাজধানীতেই মোটরসাইকেলজনিত দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৭২টি। এতে মারা গেছেন তিনজন। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুরুতেই দুই চাকার বাহন নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ না নিলে পড়তে হবে সংকটে।

ঈদে পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে ফাঁকা শহরে ঘুরতে কেউ ব্যক্তিগত গাড়ি, কেউবা ভাড়ায় চালিত গাড়িতে ঘুরাঘুরি করেন। এই বিনোদন ভ্রমণ প্রতিবছর হয়ে দাঁড়ায় দুশ্চিন্তার কারণ। ফাঁকা রাস্তায় ঘুরতে বের হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন অনেকেই। এর একটা বড় অংশ ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল।

এবছরের ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সারাদেশে দুইশ'রও বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মারা গেছেন অন্তত ১৬ জন। এর বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা।

রাজধানীতে বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ১৭২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় শুধু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৮২ জন। আর মারা গেছেন তিনজন।

অপেশাদার চালকদের নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। ফলে দুর্ঘটনাও কমছে না বলে জানান যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল হক। বলেন, 'গাড়ি এবং চালক ফিট থাকে না। টানা গাড়ি চালায় ও শহরের ড্রাইভাররা অনেক দূরে চলে যায়। এছাড়া ব্যক্তিগত ড্রাইভার ছুটিতে গেলে মালিক নিজেও দূরপাল্লার রাস্তায় গাড়ি চালান। এটা কিন্তু অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।'

গেল বছরগুলোর তুলনায় এবার সড়কে কম প্রাণ ঝরেছে। তবে দুই ও তিন চাকার যানকে নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে ভবিষ্যতে সমস্যা প্রকট হবে বলে মত দেন বুয়েটের এই অধ্যাপক। আরও বলেন, 'তরুণ প্রজন্ম চাইবে। কিন্তু রাষ্ট্রের বিরাট একটা দায়িত্ব আছে। যারা এখন চার চাকায় দেশে যাচ্ছেন তারাও এক সময় মোটরসাইকেলে যাবেন। তখন কিন্তু এটাকে আর সামাল দেয়া যাবে না।'

শুধু ঈদের ফাঁকা রাস্তায় নয়, বছরজুড়ে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা তৈরির আহ্বান যোগাযোগ বিশেষজ্ঞদের।