গেল মাসে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রভাণ্ডারে যুক্ত হয় নতুন মডেলের যুদ্ধজাহাজ। ৫ হাজার টনের অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজটি সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত। যা ৭০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে সক্ষম। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, যুদ্ধজাহাজটি সম্পূর্ণ নিজস্ব মেধা, পরিশ্রম ও প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে উত্তর কোরিয়া। যা নির্মাণে সময় লেগেছে এক বছরের মতো। এটি দেশটির নৌবহরের নতুন সংযোজন।
একই ধরনের আরেকটি যুদ্ধজাহাজ উদ্বোধনের সময় কিম জং উনের সামনেই দুর্ঘটনায় পড়ে। আজ (বৃহস্পতিবার, ২২ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করার আগেই সেটির তলদেশের কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে কিম বলেন, এটি জাতির মর্যাদা এবং গর্ব ক্ষুণ্ন করেছে। কোনোভাবেই তা মেনে নেয়া হবে না। দুর্ঘটনার জন্য অসাবধানতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতাকে দায়ী করে সবাইকে শাস্তির আওতায় আনার কথা বলেন তিনি। আগামী জুনে অনুষ্ঠিত হওয়া রাষ্ট্রীয় সভার আগে তা মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন কিম জং উন।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রতিবেশি দক্ষিণ কোরিয়াও। জাহাজটির গতিবিধি ও অবস্থান যৌথভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ওয়াশিংটন ও সিউল।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে একাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। যা এই অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছে।
সাধারণত সামরিক দুর্ঘটনার তথ্য খুব একটা উত্তর কোরিয়া। গেল নভেম্বরে, একটি সামরিক উপগ্রহের মধ্য-আকাশে বিস্ফোরণকে মারাত্মক ব্যর্থতা হিসেবে বর্ণনা করেছিল দেশটি। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে কর্মকর্তাদের কড়া সমালোচনা করেছিলেন কিম জং উন।