পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার রহমতপুর এলাকায় টাঙ্গাইলগামী যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মাহেন্দ্র থ্রি হুইলারের তিন যাত্রী নিহত হয়। নিহতরা হলেন-শেরপুরের ঝিনাইগাতি দিঘীরপার এলাকার লুৎফর রহমান (৩০), তার স্ত্রী শাহনাজ (২৫) এবং শিশু সন্তান মাহিত (২)। ঘটনাস্থলে শিশু মাহিত এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাকি দুইজন মারা যান। আহত অবস্থায় আরও দুইজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন জানান, স্বামী-স্ত্রী ভালুকার মাস্টারবাড়ী এলাকায় পোশাক কারখানায় চাকুরি করতেন। ঈদের ছুটিতে সন্তানসহ তারা বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠায়।
ত্রিশাল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চাঁদ মিয়া জানান, দুপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ত্রিশালের মাদানি সিএনজি পাম্পের সামনে একটি যাত্রীবাহী পিকআপ ইউটার্ন নেয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে পিকআপের দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এদের মধ্যে মারুফের (১৮) বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ এবং আপেল মিয়া'র (৩০) বাড়ি নান্দাইল উপজেলায়।
এছাড়া বিকেলে ত্রিশালের বালিপাড়ায় বাসের ধাক্কায় ২ অটোরিকশা যাত্রীর মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন-ত্রিশালের কাজিরকান্দা গ্রামের নাসিমা (৩৫) এবং অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াজেদ আলী জানান, আজ সকালে তারাকান্দা- ধোবাউড়া সড়কে বাসের চাপায় অটোরিকশা যাত্রী আবুল বাশার (৬০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৫ জন।
এদিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের তারাকান্দায় বাস, প্রাইভেটকার ও সিএনজি অটোরিকশায় ত্রিমুখি সংঘর্ষ হলেও কেউ হতাহত হয়নি।
সড়ক-মহাসড়কে রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজি অটোরিকশা ও মাহেন্দ্রের অধিক্য ও বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানায় পরিবহন চালক ও পুলিশ।