বিদেশে এখন
0

বিনামূল্যে ছাগল দত্তক দিচ্ছে ইতালি

বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে ছাগল দত্তক। শুনতে কিছুটা অন্যরকম লাগলেও ছাগল দত্তক দিতে আবেদনপত্র গ্রহণ করছে ইতালি। দেশটির একটি দ্বীপে অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়া ছাগলের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সমুদ্রবেষ্টিত নয়নাভিরাম ছোট্ট দ্বীপ আলিকুডি। ইতালির প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে ওঠা এই দ্বীপে বাস করছেন মাত্র ১০০ জন।

দ্বীপের বাসিন্দা ১০০ জন হলেও এখানে বুনো ছাগলের সংখ্যা জানলে আপনি অবাক হবেন। আলিকুডি দ্বীপে ছাগল রয়েছে ৬০০ টি। অতিরিক্ত হারে বুনো ছাগলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন স্থানীয়রা।

চলতি বছর দ্বীপটিতে বসবাসকারী মানুষ ও প্রাণীর ভারসাম্যে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। প্রত্যাশিত সংখ্যার চেয়ে ছাগলের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৬ গুণ। সমস্যা সমাধানে আলিকুডির মেয়র রিকার্ডো গালো একটি ঘোষণা দিয়েছেন। তা হলো- চাইলেই যে কেউ দত্তক নিতে পারবেন এই প্রাণীগুলো।

বার্তা সংস্থা সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মেয়র গালো বলেন, 'যারা দত্তক নিতে আগ্রহী তারা ছাগল পালন করতে পারেন কি না তা নিয়ে তিনি আগ্রহী নন। চাইলে যে কেউই এগুলো ধরে নিয়ে যেতে পারবে। তবে শর্ত হলো ছাগলগুলোকে নৌকায় করে দ্বীপ থেকে দূরে নিয়ে যেতে হবে।'

মেয়র আরও বলেন, 'ছাগলগুলো আবাসিক এলাকা দখলে নিয়ে বাসাবাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। সেইসাথে পাবলিক পার্ক, ব্যক্তিগত বাগান সব জায়গার গাছগুলো নষ্ট করছে। এতোকিছুর পরও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এসব বুনো ছাগল নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ কারণেই দত্তক কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন মেয়র।'

তিনি জানান, আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে যে কেউ আনুষ্ঠানিক আবেদন জমা দিয়ে সর্বোচ্চ ৫০টি ছাগল নিয়ে যেতে পারবেন। তবে ছাগল দত্তক কার্যক্রমের জন্য থাকবে না কোনো সময়সীমা। সবগুলো ছাগল দত্তক নেয়ার আগ পর্যন্ত আবেদনের মেয়াদ বাড়িয়ে যাবেন বলে জানান মেয়র। ইমেইলের মাধ্যমে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে। সাথে স্ট্যাম্প ফি হিসেবে জমা দিতে হবে ১৬ ইউরো। আর ছাগল বরাদ্দ পাওয়ার পর তা দ্বীপ থেকে সরিয়ে নিতে সময় দেয়া হবে ১৫ দিন।

এমন ঘোষণার পর আবেদন করেছেন কয়েকজন আগ্রহী। তাদের মধ্যে পাশের দ্বীপের একজন খামারিও রয়েছেন। যিনি ছাগলের পনির উৎপাদন করেন।

২০ বছর আগে এক কৃষক দ্বীপটির মুক্ত পরিবেশে ছাগল ছেড়ে দেন। এরপর থেকেই বছরের পর বছর ধরে দ্বীপের পাহাড়ে চরে বেড়িয়েছে প্রাণিগুলো। শুধু তাই নয় বংশবৃদ্ধিও হয়েছে অবিশ্বাস্য হারে।

ইএ