সম্প্রতি রিয়াল মাদ্রিদের হোম ভেন্যুটি সংস্কার করা হয়েছে। ফলে স্টেডিয়ামটি আধুনিকয়নের ছোঁয়া পেয়েছে। দর্শকদের আসন সংখ্যা ৮১ থেকে বাড়িয়ে ৮৫ হাজার করা হয়েছে। এর চেয়েও আকর্ষণীয় বিষয় হলো, স্টেডিয়ামজুড়ে ৩৬০ ডিগ্রি ডিজিটাল বোর্ড বসানো হয়েছে। এছাড়া ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থাসহ পুরো মাঠজুড়েই বসানো হয়েছে এয়ারকন্ডিশনার।
মাঠে খেলা ছাড়াও স্টেডিয়ামটি ব্যবহার করে বাণিজ্যিকভাবেও আয় করতে পারবে রিয়াল মাদ্রিদ। এই যেমন স্টেডিয়ামের আয়েত্বর মধ্যেই পাঁচ তারকা হোটেল করা হয়েছে। ফলে দর্শকরা গ্যালারিতে বসেই অ্যাপসের মাধ্যমে পছন্দমতো খাবারের অর্ডার করতে পারবেন। এছাড়া যাতায়াত পথ সুগম করতে বার্নাব্যুর ভেতরই রেললাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব অবকাঠামো থেকে বছরের ১শ’ মিলিয়ন ইউরো আয় করার পরিকল্পনা লস ব্লাঙ্কোদের।
শুধু তাই নয় মাঠটিকে কনসার্টসহ বিভিন্ন ইভেন্টের জন্যও ভাড়া দিতে পারবে রিয়াল মাদ্রিদ। এজন্য সহজেই খেলার পিচ পরিবর্তনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে স্টেডিয়ামটিতে। মাঠে ঘাসের রং ঠিক রাখতে এক প্রকার বিশেষ লাইটও বসানো হয়েছে।
মূলত ২০১১ সালে প্রথম সংস্কারের পরিকল্পনা করে রিয়াল মাদ্রিদ। এর ৮ বছর পর ২০১৯ সালে শুরু হয় সংস্কারের বাস্তবায়ন কাজ। ২০২২ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনা ও রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য তা ২০২৩ সালে শেষ হয়। আর পুরো এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেত সাদা জার্সিধারীদের প্রায় এক বিয়িলন ইউরো খরচ হয়েছে।