বিশ্ব অর্থনীতি
অর্থনীতি
0

যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োগ কমলেও স্থিতিশীল চাকরির বাজার

যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারে মার্চে দুই লাখ কর্মী নতুন চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। আগের মাসে এ সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭৫ হাজার। এছাড়া ২০২৩ সালের মাসিক গড় নতুন কর্মসংস্থান ছিল ২ লাখ ৫১ হাজার জন। সব মিলিয়ে পরিসংখ্যান বলছে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির গতি সম্মানজনক পর্যায়ে থাকলেও মার্কিন শ্রমবাজারে নতুন কর্মসংস্থানের পরিমাণ কমেছে। দেশটির শ্রম বিভাগ থেকে প্রকাশিত চাকরি প্রতিবেদনে সম্প্রতি এমন তথ্য উঠে এসেছে।

নিয়োগের ক্ষেত্রে এমন পরিমিত নিম্নমুখী পরিবর্তন ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তাদের খুব বেশি উদ্বিগ্ন করবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ পরিসংখ্যান তেমন অস্থিতিশীল নয়। বিশেষ করে মূল্যস্ফীতির মূল চালক মজুরি বৃদ্ধি গত মাসেও মন্থর ছিল।

কয়েক দশকের সর্বোচ্চ সুদহার কমাতে ফেডের নীতিনির্ধারকরা কিছু বিষয়ে লক্ষ্য রাখছেন। এর মধ্যে রয়েছে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা, চাকরির বাজার ও মূল্যস্ফীতি।

বিশ্লেষকদের ভাষ্য, বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশটির জনগণের মনোভাবকে প্রভাবিত করবে। এক্ষেত্রে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে তারা পুনরায় ভোট দেবেন কিনা তার হিসাব গুরুত্বপূর্ণ।

যুক্তরাষ্ট্রে দেড় বছরে মূল্যস্ফীতির হার তার সর্বোচ্চ থেকে নেমে এসেছে। তার পরও গড় মূল্য এখনো ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল, তার চেয়ে প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি। এ কারণে জো বাইডেনকে কড়া রাজনৈতিক মূল্য দিতে হতে পারে বলেও জানান বিশ্লেষকরা।

মার্কিন শ্রম বিভাগকে উল্লেখ করে বিশ্লেষক সংস্থা ফ্যাক্সসেটের জরিপে অংশ নেয়া গবেষকরা জানান, দেশে বেকারত্বের হার আগের ৩ দশমিক ৯ থেকে ৩ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে এসেছে।

এ প্রতিবেদন বস্তুনিষ্ঠ হলে মার্চ ছিল টানা ২৬তম মাস, যখন বেকারত্বের হার ৪ শতাংশের নিচে রয়েছে। ১৯৬০ এর দশকের পর এটি বেকারত্ব নিম্নমুখী ধারায় থাকার দীর্ঘতম সময়।