দেশটির সবচেয়ে বড় শহর 'কুউজন সিটিতে' গেল ২১ মার্চ একে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। শহরটির স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, দ্রুতগতিতে বাড়ছে হুপিং কাশির সংক্রমণ। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নবজাতক ও শিশু। আর আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে নিহতের সংখ্যাও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা চিকিৎসকদের।
মহামারি বিশেষজ্ঞ ডা. রোলান্ডু ক্রুজ বলেন, 'নজিরবিহীনভাবে হুপিং কাশি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গেল বছর এই সময়ে এ রোগে আক্রান্ত কোন রোগী ছিল না। এরইমধ্যে ৪জন মারা গেছে।'
সাধারণত 'বরডাটেলা পারটুসিস' নামের একটি ব্যাকটেরিয়ার জন্যই হুপিং কাশি হয়ে থাকে। এটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ। হাচি ও কাশির মাধ্যমে সহজেই একজন থেকে আরেকজন আক্রান্ত হয় এ রোগে। তাই হাচি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের এ বিষয়ে সচেতন করছেন চিকিৎসকরা।
স্থানীয়রা ভাষায়, ভয়াবহ পরিস্থিতি। আত্মীয়-স্বজন যারাই বাড়িতে রয়েছেন, শিশুদের কাছে যেতে দেয়া হচ্ছে না। মাস্ক ব্যবহার করছি। এ যেন ফের কোয়ারেন্টাইনে চলে গিয়েছি।
হুপিং কাশির লক্ষণগুলো সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে প্রকাশ হয়। হুপিং কাশির প্রাথমিক লক্ষণ সর্দি, নাক বন্ধ, জ্বর ও কাশি। যদিও ভ্যাকসিনের মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।