১. বড় অংকের বেতন মানে অধিক আর্থিক নিরাপত্তা
![](https://images.ekhon.tv/higher salary means greater financial security.webp)
বেশি অর্থ উপার্জন করা অনেক আর্থিক সমস্যার সমাধান বলে মনে হতে পারে। তবে এটি কেবল তখনই সম্ভব যদি আপনার আয়ের সঙ্গে ব্যয় না বাড়ে। কেউ বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত হলে তার উপার্জনের চেয়ে বেশি ব্যয় হতে পারে। তাই সঠিক শৃঙ্খলা ছাড়া, বড় অংকের বেতন কাউকে আর্থিকভাবে বেশি নিরাপত্তা দিতে পারে না।
২. টাকা মানে সুখ
অনেকেই বিশ্বাস করেন ‘টাকা মানে সুখ’। তবে এটি অনেক বড় ভুল ধারণা। অবশ্যই, অর্থ জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং একে উপেক্ষা করা উচিত নয়। তবে, আপনি যদি একটু খোঁজ নেন তাহলে দেখবেন, পৃথিবীর সবচেয়ে সম্পদশালী মানুষও সুখের খোঁজে সাধারণ জীবনযাপনের দিকে বেশি মনোনিবেশ করেন। তাই, সুখী হতে চাইলে বিলাসী জীবনযাপন এবং আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া বন্ধ করুন। এর অর্থ এই নয় যে, অর্থ আপনাকে সুখী করবে না। জীবন যদি সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, অর্থ আপনাকে অন্তহীন স্বাধীনতা এবং বিকল্প প্রদান করতে পারে। যার ফলে আপনি নিজের মত করে জীবনকে উপভোগ করতে পারবেন।
৩. বেশি অর্থ, সমস্যা কম
![](https://images.ekhon.tv/More money, fewer problems.webp)
অঢেল অর্থ থাকলেও আপনার সব সমস্যার সমাধান নাও হতে পারে। বরং কিছুক্ষেত্রে জীবনযাপন আরও ব্যয়বহুল আর জটিল হয়ে উঠবে। 'লাইফস্টাইল ক্রীপ' - এমন একটি থিওরি, যেখানে আয়ের সাথে সাথে খরচও বেড়ে যায়। এমনকি সবচেয়ে কৌশলী মানুষটির কাঁধেও ঋণের পাহাড় জমতে পারে। কখনও কখনও তারা সেখান থেকে নিজেদের মুক্তও করতে পারে না। সামাজিক অবস্থানকে শক্ত করা দোষের কিছু নয়। তবে চাওয়া-পাওয়ার লাগাম টেনে ধরতে না পারলে, অঢেল অর্থও কোন সমস্যার সমাধান না
৪. অর্থের দাসত্ব
![](https://images.ekhon.tv/slave of money.webp)
"আমি টাকার জন্য কাজ করি" এই মানসিকতা আপনাকে দাসত্বের দিকে ঠেলে দিবে। আপনি কাজে যান, বেতন পান, ব্যয় করেন, যা অবশিষ্ট আছে তা সংরক্ষণ করার চেষ্টা করেন, পরবর্তী বেতনের জন্য অপেক্ষা করেন এবং এভাবে প্রতি মাসে একই চক্রের পুনরাবৃত্তি হয়।
অর্থ বা আয়ের উৎসকে এমনভাবে ব্যবহার করবেন না যাতে করে এরমধ্যেই আপনার জীবন ঘূর্ণিপাক খায়। অর্থকে নিজের মত করে ব্যবহার করুন। প্রথমে আপনার আয় থেকে অর্থ সঞ্চয় করুন। এরপর লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করুন। সে খাতটি যদি অল্প লাভজনক হয় তাও ভালো। এভাবে বেতনের আশায় না থেকে মানসিকতা পরিবর্তন করুন। তাতে আপনার জীবনযাত্রাও সহজ হবে।
৫. জীবনযাপন ও আয়ের সম্পর্ক
আমরা অনেকেই আয়ের এমন একটি স্তরে পৌঁছানোর চেষ্টা করি, যা আমাদের পছন্দের জীবনযাপন উপভোগ করতে সহায়তা করবে। তবে তার আগে আপনার বর্তমান জীবন নিয়ে একটু ভাবুন। কোনো বড় পরিবর্তন কি আপনাকে সুখী বা আরও পরিপূর্ণ করবে? যদি উত্তর না হয়, তাহলে আপনি ইতিমধ্যেই আপনার পছন্দ মতো জীবনযাপন করছেন। বাড়তি আয়কে সুখে থাকার বিষয় না ভেবে, বোনাস হিসেবে বিবেচনা করুন এবং এটিকে কাজে লাগান।