স্বপন দেবনাথ নামে একজন ৯ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট কাটতে সকাল ৭টা থেকে মোবাইল হাতে বসেছিলেন। ৮ টায় শুরু হয় টিকিট বিক্রি। পাঁচ মিনিটের মধ্যে সব টিকিট শেষ হয়ে গেলে কমলাপুর স্টেশনে আসেন টিকিট নিতে। যদি টিকিট পাওয়া যায়!
তিনি বলেন, 'টিকিট তো জিরো দেখাচ্ছে। এটা কিভাবে সম্ভব এক মিনিটেই সব টিকিট শেষ! তারা বললো যে এতে আমাদের কিছু করার নাই। পরবর্তীতে স্ট্যান্ডিং টিকিট নিয়ে যেতে পারবেন।'
স্বপন দেবনাথের মতো অনেকেই টিকিট না পেয়ে ছুটে এসেছেন কমলাপুরে। দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিট নেবেন তারও উপায় নেই। ২৫ শতাংশ দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিট পাওয়া যাবে ট্রেন ছাড়ার ২ ঘণ্টা আগে।
শেষ দিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরুর ১ ঘণ্টায় সব শেষ হয়ে যায় বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। পশ্চিমাঞ্চলের ১৬ হাজার ৬শ' ৯৯ টিকিটের বিপরীতে হিট পড়েছে ১ কোটি ২৩ লাখ। প্রতিটি টিকিটের বিপরীতে হিট হয়েছে ৭৩৭ বার। প্রতি হিটে যদি ৫ মিনিট করেও সময় নষ্ট হয় তা হলে ৬১ ঘন্টা ৩৮ মিনিট নষ্ট হয়েছে ১টি টিকিট পেতে।
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, প্রথম আড়াই ঘণ্টায় আমাদের টিকিট বিক্রি হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার। এর জন্য প্রথম পিক আওয়ারে ৩০ মিনিটে হিট পড়েছে ১ কোটি ২৩ লাখ। আমাদের সব প্রস্তুতি নেয়া আছে। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে দ্রুত সময়ে উদ্ধার করতে পারি।
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রস্তুত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আর সাধারণ মানুষের দাবি হয়রানিমুক্ত রেলসেবার।