সোমবার (২৫ মার্চ) মার্কিন বিচার বিভাগ এবং ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি। মার্কিন বিচার বিভাগ এই ঘটনাকে চীনা সরকারের সমর্থিত 'গ্লোবাল হ্যাকিং অপারেশন' হিসেবে অভিহিত করেছে।
চীনের একটি হ্যাকার গ্রুপ 'সিনিস্টার'। যাদের কাছে লাখ লাখ আমেরিকান অ্যাকাউন্ট পাওয়া গেছে। এসব অ্যাকাউন্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের টার্গেট বানানো হয়েছে বলে প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র 'সিনিস্টার' গ্রুপের সাতজন চীনা নাগরিককে শনাক্ত করেছে। যাদের বিরুদ্ধে সাইবার আক্রমণের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগটিতে বলা হয়, এই সাত জন ১৪ বছর ধরে হ্যাকিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অভিযুক্ত সাতজনকে ধরিয়ে দেয়ার বিনিময়ে ১ কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
চীন যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য মার্কিন নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর মতো অন্যায় প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রে। তিনি বলেন, 'সাইবার গুপ্তচরবৃত্তি সহ্য করা হবে না। যা কিছু দেশের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য হুমকিস্বরূপ তার অনুসন্ধান এফবিআই চালিয়ে যাব।
তবে ওয়াশিংটন ডিসির চীনা দূতাবাস এ অভিযোগের সমালোচনা করেছে। দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেন, 'উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশগুলো অভিযোগ জানাচ্ছে। এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।'
অভিযুক্ত সাত হ্যাকার একাধিক মহাদেশ জুড়ে হাজার হাজার ভিকটিমকে প্রায় ১০ হাজারের বেশি ম্যালিসিয়াস ই-মেইল পাঠিয়েছে।