মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ শহীদ হয়েছেন, কারো হয়েছে মৃত্যু, কেউবা এখনও জীবিত। ইউনিয়নের ৫৩ জন বীরসেনার নামে রাখা রয়েছে সড়ক নাম। যেসব নামের সাথে মিশে রয়েছে ১৯৭১-এর নানা ঘটনাবলি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা একজন বলেন, 'আমার নামে সড়ক হয়েছে। আমি যদি ৫ বছর পর মরেও যায় তবুও এই সড়কের কারণে আমি বেঁচে থাকবো।'
প্রতিটি সড়ক নতুন প্রজন্মের কাছে গল্পের নতুন অধ্যায়ের মতো। জাতির বীর সন্তানদের এভাবে স্মরণ করার বিষয়টি গর্বিত করেছে গ্রামবাসীকে।
স্থানীয়রা বলেন, 'যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশ থাকবে ততদিন পর্যন্ত তাদের নাম থাকবে।'
আরেকজন বলেন, '৫৩ টি সড়কে সড়ক ফলক তৈরি করা হয়েছে যার ফলে নতুন প্রজন্ম এই সড়ক ফলক দেখে মুক্তিযোদ্ধাকে চিনতে পারছে।'
মূলত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ধরে রাখতে বছর পাঁচেক আগে শুরু হয় এ উদ্যোগ। এসব নামফলক গুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় বছরজুড়ে।
চুয়াডাঙ্গার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম বলেন, 'মুক্তিযোদ্ধা যারা ছিলেন তাদের সহযোগিতায় আমি নামগুলো সংগ্রহ করেছি এবং গেজেটভুক্ত যারা আছেন তাদের বিভিন্ন গ্রামে সড়ক চিহ্নিত করে তাদের নামে নাম ফলক স্থাপন করি।'
শুধু একটি ইউনিয়ন নয়, সব এলাকায় এমন উদ্যোগ নিলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অম্লান হয়ে থাকবে বলে মনে করেন গ্রামবাসীরা।