চোখজুড়ানো সিলেটে গতির ঝলক। সকালের আলোয় বাংলাদেশ আর পড়ন্ত বেলায় শ্রীলঙ্কা, দু'পক্ষের পেসাররাই কেড়ে নিয়েছেন সব আলো। প্রথম দিনশেষে তাই কোন দলই এগিয়ে নেই, চওড়া হাসি কেবল পেসারদের ঠোঁটে।
তিন পেসার আর দুই স্পিনার নিয়ে দল সাজানো বাংলাদেশ টস জিতে নেয় বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত। পেসার খালেদ-শরিফুলরা অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান দারুণভাবে। স্কোরবোর্ডে ৫৭ তুলতেই লঙ্কানদের ৫ উইকেট নেই।
ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে ভাবা টাইগার বোলারদের জন্য রীতিমতো দুঃস্বপ্ন হয়ে আসেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা কামিন্দু মেন্ডিস। দু'জনে ২০২ রানের বিশাল পার্টনারশিপ গড়েন । ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন দু'জনই।
সেঞ্চুরির পর আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগে তাদের দু'জনকেই থামান নাহিদ রানা। পরপর তিন ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে লঙ্কানদের বড় স্কোরের স্বপ্নে পানি ঢালেন এই পেসার। তিন উইকেট তুলে নেন চাঁপাই এক্সপ্রেস, ২৮০ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
গোধূলি বেলায় ব্যাট করতে নেমে লঙ্কান পেসারদের তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশও। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে মাত্র ৯ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন জাকির হাসান। শান্ত-মুমিনুলরাও পারেননি হাল ধরতে। দলীয় ৩১ রানেই তিন উইকেট নেই স্বাগতিকদের।
দ্বিতীয় দিনে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গী হবেন নাইট ওয়াচম্যান তাইজুল। ম্যাচে টিকে থাকতে হলে লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে টাইগারদের। লিটন, মিরাজ, দিপুদের কাঁধে তাই বড় দায়িত্ব।