পুঁজিবাজারে মূলত শেয়ার, বন্ড ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়। তবে কমোডিটি বাজারে ধান, চাল, গম, সোনা ও বৈদেশিক মুদ্রাসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনাবেচা হয়।
পাইকারি দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতা সরাসরি পণ্য কেনাবেচা করলেও এই মার্কেটে সেটার সুযোগ নেই। অনেকটা শেয়ারের মতো পণ্যের সনদ বিক্রি হয়, আর সেটা দেখেই পণ্যের লেনদেন হয়।
শেয়ারবাজারের মতো কমোডিটি এক্সচেঞ্জেও নির্দিষ্ট ও অনুমোদিত ব্রোকারের মাধ্যমে পণ্য কেনাবেচা করতে হয়। নিজ বা প্রতিষ্ঠানের নামে হিসাব থাকতে হয়। এই বাজারে পণ্য কিনে তা ডেলিভারি না নিয়ে ক্রয় করা সনদ বিক্রি করা হয়। অনেকটা মিলগেটে ডেলিভারি অর্ডার বা ডিও কেনাবেচার মতো। এই মাধ্যমে পণ্যের উৎপাদক ও ক্রেতার মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণ করা সহজ হয়। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে পণ্যের দাম ঠিক রাখা যায়।
সেই প্রেক্ষিতে ২০২১ সালে কমোডিটি বাজার চালুর অনুমোদন পায় বন্দর নগরীর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। এরপর এই পদ্ধতির বাজার চালুতে বেশকিছু কাজ করে বিএসইসি ও সিএসই। সবশেষ ২০২৩ সালে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ বিধিমালা জারি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২০ মার্চ) কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর সনদ পেল সিএসই। এতে চলতি বছরের মধ্যে কার্যক্রম চালুর আশা প্রকাশ করেন সিএসই চেয়ারম্যান।
নতুন এই বাজার চালু হলে দেশে ও বিদেশে আমদানি-রপ্তানি নিয়ম মেনে হবে বলে জানান বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য আজ একটি বিশেষ দিন। আশা করি, এটির মাধ্যমে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বেশ গতি পাবে।’
এদিকে পণ্যের সঠিক মান ও দাম এই এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে নির্ধারণ হবে বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেন, ‘এই পদ্ধতি চালু হলে বাজারে অনিয়ন্ত্রিত দামের সমস্যার সমাধান হবে। একইসঙ্গে দেশের পুঁজিবাজারের এগিয়ে যাওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।’
এই মার্কেট চালু হলে এবং সঠিকভাবে পরিচালন করা গেলে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। এতে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের দাম ঠিক রাখা যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।