দক্ষিণ আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ব্রাজিলে

রিও ডি জেনেরিওতে রোববার (১৭ মার্চ) সকালে তাপমাত্রার পারদ ছাড়িয়ে যায় ৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দাবদাহের তীব্রতা থেকে বাঁচতে সমুদ্র সৈকত আর সুইমিং পুলে ছুটে যাচ্ছেন শহরের বাসিন্দারা। শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পান বা গোসলের পানি পাচ্ছেন না অনেকে।

বৈশ্বিক উষ্ণতা বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে সারা বিশ্বের জন্য। তার ওপর একেকটি বছর যাচ্ছে, আর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। ঝুঁকি বাড়ছে উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের জীবনে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার কবলে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের উপকূলবর্তী শহর রিও ডি জেনেরিও।

ব্রাজিলের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, রোববার সকালেই রিওর পশ্চিমে গুয়ারাতিবা এলাকায় তাপমাত্রার পারদ পৌঁছেছে ৬২ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রাতেও অসহনীয় গরমে নেই ঘুমের উপায়। সুস্থ থাকতে, পানিশূন্যতা থেকে বাঁচতে পানের বা গোসলের জন্য পর্যাপ্ত পানিও পাচ্ছেন না অনেকে। তীব্র দাবদাহ থেকে জীবন বাঁচাতে অনেকেই তাই গা ভেজাতে ছুটছেন সমুদ্র সৈকত আর সুইমিং পুলে।

স্থানীয় একজন বলেন, 'এতো কঠিন পরিস্থিতি! আমার অবস্থাই দেখুন। প্রতিদিন গোসল করার জন্য তো পানি পাচ্ছিই না, প্রায় দিন তো খাওয়ার মতোও যথেষ্ট পানি থাকে না। রাতের ঘুম হাওয়া হয়ে গেছে সবার। বাড়ির বাইরে গিয়ে বসে থাকি রাতে। এসি ব্যবহার করলে বিদ্যুতের বিল বেড়ে যায়, আমি বেকার বলে আমার সে সামর্থ্য নেই।'

সাম্প্রতিক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে, গেলো দুই দশকের বেশি সময় ব্রাজিলে অর্ধলাখ মানুষের প্রাণ গেছে দাবদাহ পরিস্থিতিতে। রিও অপারেশন্স সেন্টারের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সাগরের কাছে অবস্থিত এবং উত্তরের উষ্ণ বাতাস আসে বলে রিও'র গুয়ারাতিবার তাপমাত্রা অন্যান্য এলাকার তুলনায় সারা বছরই থাকে আরও বেশি।

ব্রাজিলের বিজ্ঞানী কার্লোস নোব্রে বলেন, 'আবহাওয়ার চরম অবস্থাতেও মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় কোন বিষয়গুলো, তা আগেই দেখিয়েছে বিজ্ঞান। সারা পৃথিবীতে ভূমিধ্বস বা বন্যায় যতো মানুষ মারা যায়, দাবদাহতে এর চেয়ে অনেক বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।'

এর আগে গেলো নভেম্বরেই রিওতে তাপমাত্রা ৫৮ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল।

এসএস