কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
অর্থনীতি
0

কুড়িগ্রামে চলতি মৌসুমে বাদামে বাণিজ্য হবে ১৫০ কোটি টাকার

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে ফলছে নানা ফসল। এর মধ্যে অন্যতম চিনাবাদাম। ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় চলতি মৌসুমে আগের চেয়ে বেশি জমিতে বাদাম আবাদ করেছেন চাষিরা। কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি মৌসুমে এই খাতে বাণিজ্য হবে ১৫০ কোটি টাকার।

ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর কুড়িগ্রাম জেলায় দ্বীপচর আড়াই শতাধিক। এর মধ্যে যেসব চরে বেলে দোআঁশ মাটি আছে সেখানে বারি-৭ ও ৮, ঢাকা-১ এবং বিনা-৪ জাতসহ বিভিন্ন জাতের চিনাবাদামের আবাদ করেছেন স্থানীয় চাষিরা।

কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, জেলায় এবার ২ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে চিনাবাদাম আবাদ রয়েছে। যা গত মৌসুমের চেয়ে ২০০ হেক্টর বেশি।

জেলার ৯ উপজেলার চরাঞ্চলে আবাদ হচ্ছে চিনাবাদামের। এর মধ্যে চিলমারীতে সবচেয়ে বেশি এক হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এখন ক্ষেত থেকে বাদাম তুলে বাজারজাত করছেন চাষিরা।

চাষিরা বলেন, 'দেড় বিঘা জমি চাষ করেছি। বিঘা প্রতি ৩০ মণ করে পেয়েছি। তার মধ্যে ১২ হাজার টাকা করে ১০ মণ বিক্রি করেছি।'

এদিকে চিলমারীর জোড়গাছ এবং সদরের যাত্রাপুর হাট জমে উঠেছে কেনাবেচায়। চরাঞ্চল থেকে বাদাম নিয়ে আসা চাষি আর ক্রেতা পাইকার-মহাজনদের হাঁকডাকে সরব হাটগুলো।

ব্যবসায়ীরা বলেন, 'আজকের হাটে বীজ বাদাম একদম ভালো শুকনাটা চলছে ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা মণ করে। আর খাবার বাদাম প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায়।'

কৃষি বিভাগ বলছে, দাম ও ফলন ভাল হওয়ায় চরের ১০ হাজার চাষি এবছর বাদামের আবাদ করেছেন। যাতে চলতি বছর ১৫০ কোটি টাকার বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে।

কুড়িগ্রাম চিলমারী উপজেলার উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা নৃপেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, 'গতবারের তুলনায় চিনাবাদাম  আবাদ এবার বেশি হয়েছে। অন্য ফসলের তুলনায় অল্প খরচে চিনাবাদাম চাষ করে বেশি লাভবান হচ্ছে কৃষক।'

জেলায় বছরে দু'বার বাদাম চাষ হয়। তাই রবি মৌসুমের ফসল তোলার পর খরিপ-১ মৌসুমে আবাদে নেমে পড়েছেন চাষিরা।

ইএ