মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

ফিলিস্তিনিদের হত্যার পক্ষে এক ইহুদি ধর্মযাজক

ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের উন্মত্ত গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিলেন এক কট্টর ইহুদি ধর্মযাজক। এলিইয়াহু মালি নামে ওই ধর্মগুরুর দাবি, অতীতের যুদ্ধগুলোর সময় শিশু ছিল যে ফিলিস্তিনিরা, তারাই এখন হামাসের যোদ্ধা। তাই ফিলিস্তিনি নারী-শিশুদের এখন হত্যা না করলে একসময় তারাই ইসরাইলে গণহত্যা চালাবে। তার বিতর্কিত এ বক্তব্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে ইসরাইলের পার্লামেন্টেই।

হামাস-ইসরাইল যুদ্ধের ৫ মাসে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। বুলেট বোমার পাশাপাশি নিরীহ ফিলিস্তিনিদের প্রাণ যাচ্ছে অনাহারে। ৩১ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যার পরেও ধ্বংসলীলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। এরমধ্যে গাজায় গণহত্যা চালানোর জন্য আইডিএফ এর সেনাদের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির এক ইহুদি ধর্মযাজক।

সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্মযাজক বা রাব্বি এলিইয়াহু মালি বলেছেন, হালাকা বা ইহুদি আইনের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে ইসরাইল। ধর্মমতে এ পবিত্র যুদ্ধে কোন ফিলিস্তিনির বাঁচার অধিকার নেই। এই যুদ্ধে যোগদানের আদেশ দেয়া হয়েছে ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ তোরাহতে। তাই তার দাবি, ফিলিস্তিনিদের বাঁচিয়ে রাখলে একদিন তারাই হত্যার শিকার হবেন।

শুধু তরুণ নয়, নারী ও শিশু এমনকি বৃদ্ধদেরও হত্যার আহ্বান জানিয়েছেন এ ইহুদি যাজক। মালির মতে আগের যুদ্ধে যেসব যোদ্ধাদের সন্তানদের বাঁচিয়ে রেখেছিল ইসরাইল, তারাই দেশটিতে হামলা চালিয়েছে। আর নারীরা জন্ম দিচ্ছে নতুন যোদ্ধাদের। উপত্যকাটির কমপক্ষে ৯৫ শতাংশ মানুষ একক ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র চায়। তাই ফিলিস্তিনে সাধারণ জনগণ বলতে কিছুই নেই।

এলিইয়াহু মালি বলেন, 'যারা আপনার দিকে বন্দুক তাক করে আছেন, শুধু তারাই নয়, ভবিষ্যত প্রজন্ম এমনকি সন্ত্রাসীদের জন্মদাত্রীদেরও হত্যা করতে হবে। কারণ যিনি আজকে শিশু, আগামী দিনে তিনি যোদ্ধা হবেন। যারা আপনাকে বিকালে হত্যা করতে আসবে, তাদেরকে সকালেই হত্যা করুন।'

এলিইয়াহু মালি'র এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির প্রধান মেরাভ মাইকেলি। তিনি জানান, কোন ধর্মযাজককে রক্তপিপাসু বা প্রতিশোধ পরায়ণ হবার অনুমতি দেয়নি ইহুদি ধর্ম। মালিকে অপসারণ না করা পর্যন্ত স্কুলটির সঙ্গে সেনাবাহিনী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত না হবার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ইসরাইলের ধর্মীয় স্কুল শিরাত মোসে'র প্রধান এলিইয়াহু মালি। স্কুলটিতে সরাসরি অর্থায়ন করে দেশটির সরকার। শিক্ষাগ্রহণ শেষে শিক্ষার্থীরা যোগ দেয় দেশটির সেনাবাহিনীতে।