রাজধানীর ৩০টি পয়েন্টে সুলভে পণ্য বিক্রি

0

রোজায় ভোক্তার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে দেশের কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী ও পোল্ট্রি এসোসিয়েশন। ট্রাকসেলের মাধ্যমে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সাশ্রয়ীমূল্যে তেল, চিনি, মসুর ডাল, ডিম, মুরগিসহ নিত্যপণ্য বিক্রি করছে তারা। বাজারমূল্যের চেয়ে কমে পণ্য পাওয়ায় খুশি ক্রেতারা।

ঊর্ধ্বমুখী দামের চাপে নিত্যপণ্য স্থান পেয়েছে বাজারের ব্যাগের তলানিতে। দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় এমন পণ্য কিনতে চিড়েচ্যাপ্টা অবস্থা সাধারণ ক্রেতাদের।

বাজারের এ লাগামছাড়া অবস্থা আরও একটু নাগালের বাইরে গেছে রমজান শুরুর পর। রোজাকে ঘিরে বিভিন্ন পণ্যের দাম এখন আকাশছোঁয়া। এতে করে নিম্নবিত্ত তো বটেই মধ্যবিত্তেরও গলদঘর্ম অবস্থা।

বাজার নিয়ন্ত্রণ যখন অসম্ভব, তখন সাধারণ ক্রেতার ভরসা বিভিন্ন ট্রাকসেল পণ্যে। যেখানে কিছুটা হলেও সাশ্রয়ী মূল্যে মিলছে তেল, চিনি, মসুর ডাল, খেজুরসহ বিভিন্ন পণ্য।

রাজধানীজুড়ে প্রায় ৩০টিরও বেশি পয়েন্টে ট্রাকসেলের মাধ্যমে সাশ্রয়ী পণ্য বিক্রি শুরু করেছে বিভিন্ন কোম্পানি। যেখানে বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে পণ্য কিনতে পেরে স্বস্তিতে ক্রেতারা।

|undefined

সুলভে পণ্য কিনতে ক্রেতাদের ভিড়। ছবি: এখন টিভি

তারা বলেন, 'এখানে কম দামে অনেক জিনিস বিক্রি করছে। এতে অনেকেই উপকৃত হবে। বিষয়টা খুব ভালো লাগার। কম পাওয়ায় আমরা এখান থেকে কিনতে আসছি। বাইরে এ পণ্যগুলো কিনতে গেলে বেশি টাকা লাগতো।'

রোজায় চাহিদার সঙ্গে বেড়ে যায় ডিম-মুরগির দাম। ক্রেতাদের স্বস্তি দিতে ন্যায্যমূল্যে ডিম ও মুরগি বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে পোল্ট্রি এসোসিয়েশন। প্রতি পিস ডিম ১০ টাকা ও প্রতি কেজি প্রস্তুতকৃত ব্রয়লার মুরগি ২৬০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। পাশাপাশি লেবু ও খেজুরও মিলছে সাশ্রয়ী মূল্যে।

ভোক্তারা আরও বলেন, 'সরকার ভোক্তা অধিকারের মাধ্যমে যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা যেন অব্যাহত থাকে।'   

পুরো রমজানজুড়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার পিস ডিম ও ১ হাজার পিস মুরগি বিক্রির আশ্বাস দেন পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার। বলেন, 'আমরা চাই বাজারের সিন্ডিকেট যেন ভেঙে যায়। ভোক্তারা যাতে ন্যায্যমূল্যে খেতে পারে।'

|undefined

ক্রেতার হাতে পণ্য তুলে দিচ্ছেন ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক। ছবি: এখন টিভি

ট্রাকসেল পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, চাহিদা ও সরবরাহে সামঞ্জস্য না থাকায় বাড়ছে পণ্যের মূল্য। সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে বিভিন্ন কোম্পানির এ ধরণের উদ্যোগ প্রশংসনীয় বলে মনে করেন তিনি। বলেন, 'আমরা বলতে চাই বিত্তবানরা এগিয়ে আসেন। বিভিন্ন কর্পোরেট গ্রুপ ও সুপার শপগুলো এগিয়ে আসছে। যারা কম দামে বিক্রি করছে সেই তথ্যগুলো সবাই প্রচার করেন। তাতে যারা বেশি দামে বিক্রি করছে, তারা একটা চাপের মধ্যে পড়বে। তখন তারাও দাম কমাতে বাধ্য হবে।'

তবে রমজান মাসে শুধু মূল্যছাড় দিয়ে পণ্যের দামে লাগাম টানা কি সম্ভব? কতটুকুইবা সফলতা বয়ে আনবে এ উদ্যোগ, তা নিয়ে কাটছে না সংশয়।