গেল বছরে যেমন মতিঝিল থেকে মিরপুর রুটের যাত্রীরা যানজটে নাকাল ছিল, এবছর সে দুর্ভোগ কমে গেছে অনেকটাই। রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবহারকারীরা তুলনামূলক স্বস্তিতে ঘরে ফিরে ইফতার করতে পারছেন পরিবারের সাথে।
রমজান উপলক্ষে মেট্রোরেলের নতুন পিক এবং অফ পিক আওয়ারে শুরুর গন্তব্য মতিঝিলে ভিড় ছিল।
ট্রেন প্ল্যাটফর্মে ঢুকার সাথে সাথেই কানায় কানায় পূর্ণ পুরো বগি। আবার অনেক যাত্রী জায়গা না পেয়ে অপেক্ষা করছেন পরবর্তী ট্রেনে উঠতে পারার সুযোগের অপেক্ষায়।
এমন দুইজন যাত্রীর সাথে কথা হয় এখন টেলিভিশনের। স্বস্তিদায়ক ভ্রমণে ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়লে এমন অপেক্ষায় থাকতেন না বলে মনে করেন তারা। জরিমানার সময় ৬০ থেকে ৭৫ মিনিট করলেও সেটা বাতিল চান তারা। বলেন, 'রোজার সময় যানজট আরও বেশি থাকে। আগে তিন থেকে চার ঘণ্টা লাগতো। কিন্তু এখন ৩০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাচ্ছি। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।'
কারওয়ান বাজার মেট্রো স্টেশনেও ঠাঁই নেই। তবে ভিড় হলেও এ যাত্রা আগের তুলনায় অনেক স্বস্তিদায়ক বলেই মনে করেন যাত্রীরা। বলেন, 'বাসে আসতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা লাগে। তাই মানুষ সময়কে দেখছে, টাকার কথা ভাবছে না। স্বল্প সময়ে যাতায়াত করা যায়।'
মেট্রোরেলে পানি খেয়ে ইফতার করছেন দুই রোজাদার। ছবি: এখন টিভি
ইফতারের সময় যত ঘনিয়ে এলো মেট্রোর ভিড়ও ততো কমে এলো। ফাঁকা ট্রেনে ইফতারের অপেক্ষায় ঘরে ফেরা যাত্রীদের কাছে এখন টেলিভিশন জানতে চায় ২৫০ মিলিলিটার পানির বোতলে ইফতার হবে কি না ? পাশেই পেলাম আরেক যাত্রী যিনি না জানার সুযোগে সাথে রেখেছেন ১ লিটারের পানি।
তারা বলেন, 'যেখানে সেখানে কেউ পানি ফেলে না। তাই ইফতারের সময় পানি সাথে রাখা উচিত। জানা ছিল না তাই আমার প্রয়োজনে পানি নিয়ে উঠেছি।'
কথার মাঝেই ভেসে আসলো ইফতারের সাইরেনের মধুর শব্দ। ভ্রমণকারী রোজাদাররা ইফতার সারলেন ট্রেনেই।
মেট্রো চলাচলে প্রথম ১৫ রোজা আগের সময়ে চলবে ১৮৪ বার। আর শেষের ১৫ রোজায় বাড়তি এক ঘণ্টা চলবে ট্রেন। ট্রেন আপ ডাউন করবে ১৯৪ বার । তবে পুরো রমজানে পিক ও অফ পিক আওয়ার হবে অফিস সূচি অনুযায়ী।
অন্যদিকে রাজধানীর কারওয়ানবাজার, বাংলামটর, শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোডসহ বেশ কিছু সড়কে অফিস ছুটির পর যানবাহনের জটলা দেখা যায়। কিন্তু সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ইফতারের আগ মুহূর্তে রাজধানীর অধিকাংশ সড়ক ছিল ফাঁকা।