বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দিবসটি উপলক্ষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। এ সভার আয়োজন করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গুণীজন উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা ও আন্দোলনের ফসল স্বাধীনতা। ৭ মার্চের ভাষণে দেশ স্বাধীন করতে গেরিলা যুদ্ধের নির্দেশনা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘একজন নেতার কী দায়িত্ব, মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে উদ্বুব্ধ করা, আবার শত্রুপক্ষকেও বিরত রেখেছিলেন। ৭ মার্চের ভাষণে সেটিই স্পষ্ট ছিলো।’
১৯৭৫ সাল পরবর্তী সরকারগুলো স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছিল উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সেই অপচেষ্টা রুখে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্ভাগ্যের বিষয়, দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, পাকিস্তানিরা তাকে হত্যা করতে পারেনি। কিন্তু যারা আমাদের দেশের, যারা দিনরাত আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো, তাদেরই দেখলাম ঘাতকরূপে।’
আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
এর আগে সকাল ৭টায় ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রথমে ফুল দেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। পরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আরও একবার ফুলেল শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।