সম্মেলনে বক্তারা বর্ধিত জলবায়ু অভিযোজন অর্থায়নের জন্য আহ্বান জানান। স্থানীয় অভিযোজন কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন ও স্থানীয় ঝুঁকি নিরসনে সমাজভিত্তিক সমাধান, এর ভিত্তিতে সুষম বরাদ্দের কার্যকর ব্যবহারের উপর গুরত্বারোপ করেন বক্তারা।
সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, অতিমাত্রায় নদীভাঙন চরের মানুষদের বাসস্থান কেড়ে নিয়েছে। ভিটেমাটি হারিয়ে হয়েছেন উদ্বাস্তু। বারবার হারাচ্ছেন তাদের ফসল ফলানো কৃষি জমি। কৃষিসহ অনেক সম্ভাবনা দিক থাকলেও দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বারবার বন্যায় চর এলাকার জনগোষ্ঠির সম্পদের ক্ষয়ক্ষতিসহ জীবন-জীবিকা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে চর ইয়ুথনেটের বাসিন্দা শাহিনা আক্তার বলেন, 'চরাঞ্চলের মেয়ে শিশুরা বাল্যবিবাহের শিকার হওয়ার পর অল্প বয়সে গর্ভধারণ করে। পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা না থাকায় মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার বেশি চরাঞ্চলে। যাতায়াতের অসুবিধার জন্য চর থেকে শহরের হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই মারা গিয়েছে একাধিক গর্ভবতী মা এবং অন্যান্য রোগী। আমরা নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা চাই এবং কিশোরীদের জন্য স্কুল চাই।'
চর সম্মেলনের আহবায়ক সুজন মোহন্ত বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তন এখন শুধু কুড়িগ্রাম কিংবা বাংলাদেশের সমস্যা নয় এটি একটি বৈশ্বিক সংকট। আমরা আমাদের দাবী তুলে ধরতে চাই বহির্বিশ্বে। জলবায়ু সুবিচার আমাদের ন্যায্যতার দাবী। এ সংকট মোকাবেলায় আমরা তরুণরা স্থানীয় পর্যায় থেকে কন্ঠস্বর তুলে ধরতে চাই।'
ইয়ুথনেটের নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমান জানান, 'আমরা চরকে আর ক্ষয়-ক্ষতির প্রতীক হিসেবে দেখতে চাইনা। আমরা চাই চরের নয়া ব্রান্ডিং-জলবায়ু ও দুর্যোগ সহনশীল, আধুনিক ও স্মার্ট চর। স্থানীয়, লোকায়াত ও ঐতিহ্যগত জ্ঞানকেও গুরুত্ব দিয়ে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে চরকে স্মার্ট ও জলবায়ু সহনশীল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। চরের উপর বিনিয়োগ বাড়াতে সরকার ও উন্নয়ন অংশীদারদের সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে।'





