পূর্ব ভারতের রেল যোগাযোগ উন্নত করতে প্রায় ১৮০ কোটি ডলারের উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয় ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। ১৯৮৪ সালে কলকাতা শহরে প্রথমবারের মতো শুরু হয় মেট্রো চলাচল। সেটি ছিল পাতাল রেল। সেটি ৩.৪ কিলোমিটার পথ দিয়ে শুরু হলেও, পরবর্তীতে বেড়ে ৩১ কিলোমিটার পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে। ধর্মতলা থেকে হাওড়া পর্যন্ত রুটটি ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কলকাতার ভূগর্ভস্থ রেলের কয়েকটি নতুন রুট উদ্বোধন করেন। যার একটি রুট হুগলি নদীর নিচ দিয়ে কলকাতার সঙ্গে হাওড়া শহরকে সংযুক্ত করেছে। পাশাপাশি সাড়ে ৫ কিলোমিটারের নিউ গড়িয়া বিমানবন্দর মেট্রো রুট এবং জোকা-তারাতলা মেট্রো রুটের সম্প্রসারিত অংশ উদ্বোধন করেন তিনি।
হুগলি নদীর জলস্তর থেকে ৩৩ মিটার নিচ দিয়ে জোড়া সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছে। নদীখাত থেকে আরও ১৩ মিটার নিচে পলিমাটির ভেতর দিয়ে গেছে সুড়ঙ্গ দু'টি। যার মাধ্যমে মেট্রোরেল দিয়ে এপার থেকে ওপার আসা-যাওয়া করবেন যাত্রীরা। এই রেলপথ চালুর মধ্য দিয়ে মেট্রো'র স্টেশন সংখ্যা ১৭ থেকে বেড়ে ২৬টি হয়েছে। সারা ভারতে নদীর তলদেশ দিয়ে ট্রেন চলার ঘটনা এটিই প্রথম।
এখন মেট্রোরেলে করে হাওড়া থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত যেতে ৮ মিনিট এবং হাওড়া থেকে শিয়ালদাহ যেতে ১১ মিনিট সময় লাগবে। আর নদীর তলদেশে ৫২০ মিটার রেলপথ অতিক্রম করতে সময় লাগবে মাত্র ৪৫ সেকেন্ড। উদ্বোধন শেষে মেট্রো ট্রেনে একদল স্কুল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চড়ে বসেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ধর্মতলা থেকে ছুটে যান হাওড়া পর্যন্ত।
আন্ডারওয়াটার মেট্রো প্রকল্প কেবল যাতায়াতে পরিবর্তন আনবে না। সেই সঙ্গে কলকাতার দীর্ঘস্থায়ী যানজট ও বায়ু দূষণ কমাতে ভূমিকা রাখবে। পূর্ব থেকে পশ্চিমে মেট্রোর মোট ১৬.৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মধ্যে ভূগর্ভস্থ অংশ ১০.৮ কিলোমিটার পথ।