২০২৩ সালে চট্টগ্রাম বন্দর আমদানি-রপ্তানিবাহী কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে ৩০ লাখ ৫০ হাজার। এ বন্দরে বছরে প্রায় ৪ হাজার জাহাজ আসা-যাওয়া করে। বিশ্ব ব্যাংকের জরিপ অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান প্রায় তলানিতে। বর্তমানে পৃথিবীর ৩৪৮টি বন্দরের মধ্যে দেশের প্রধান এ বন্দরের অবস্থান ৩০৭তম।
দেশে রপ্তানি পণ্যের শতভাগ ও ৩৮টি আমদানি পণ্য হ্যান্ডলিং করে বেসরকারি ১৭টি ডিপো। কন্টেইনার জাহাজে তোলার মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগেও বন্দরে পাঠান রপ্তানিকারকরা। এক্ষেত্রে আগে থেকে কন্টেইনারের ওজন ও গন্তব্য না জানা, কোন জাহাজে পণ্যটি যাবে তা জানা না থাকায় তৈরি হয় জটিলতা। এসব কারণে পণ্য জাহাজীকরণে সময় ও ব্যয় বাড়ছে।
এক্ষেত্রে পণ্য জাহাজীকরণ ও বেসরকারি ডিপোর সমন্বয়ের ওপর জোর দেন শিপিং এজেন্টস ও বেসরকারি ডিপোর পরিচালকরা।
বেসরকারি ডিপো কর্তৃপক্ষের সচিব রুহুল আমিন বলেন, আমাদের কন্টেইনারগুলো আরও সুশৃঙ্খলভাবে পাঠালে ভালো হয়। এতে করে আমাদের সময়ও কম লাগতো বলে মনে করি।
এমএসসি শিপিং এজেন্ট আজমীর হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা দেখি প্রায় ৪০ শতাংশ কন্টেইনার দ্বিতীয় দিনে যাচ্ছে। এখানে জানতে পারি না যে, কোন কন্টেইনার কবে যাবে? আর এ কারণে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়।’
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলেন, তথ্যের সমন্বয় না থাকায় এখন বেসরকারি ডিপোতে ৫০ থেকে ৭০ ভাগ অপারেশন হয় অপ্রয়োজনীয়, যা কমানো সম্ভব। এছাড়া বন্দরের ভেতর ৭০ শতাংশ খোলা পণ্য খালাস হয়। এতে প্রতিদিন ৪ হাজার ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে, কাজ করে ৬ হাজার শ্রমিক, এটিও বন্দরের সক্ষমতা কমাচ্ছে। বন্দর ও বেসরকারি ডিপোতে দীর্ঘদিন কন্টেইনার ফেলে রাখায় সমস্যা হচ্ছে অপারেশনে।
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) পরিচালক ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, এটা সত্য যে আমাদের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে সময় বেশি লাগছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বছরে ৫২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে, যার ৯০ ভাগই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হয়। বন্দরে একটি আমদানি, রপ্তানিবাহী জাহাজ হ্যান্ডলিং হয় গড়ে ৩ দিনে, যা ১৮ ঘণ্টায় হয় সম্পন্ন করে সিঙ্গাপুর বন্দর।