অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে ওষুধের দাম সহজলভ্য করতে হবে। সে লক্ষ্যে সবার সাথে আলোচনা করছে সরকার।'
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, 'আমি সবার সাথে কথা বলে একটা সহজলভ্য জায়গায় যেতে চাই যাতে সাধারণ মানুষ ওষুধগুলো সুন্দরভাবে কিনতে পারে। সুতরাং সবার কথা বিবেচনা করে আমাকে এগুতে হবে।'
ওষুধের দাম বৃদ্ধি নিয়ে ওষুধ শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মুক্তাদির বলেন, উৎপাদনের খরচ বাড়লেও সে হারে দাম বাড়েনি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দাম সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ওষুধ শিল্প মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, আগামীতে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে। সংকট এড়াতে অংশীজনদের একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
দেশে ওষুধ উৎপাদনে যথেষ্ট সক্ষমতা থাকলেও মানসম্মত ওষুধ উৎপাদনের ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র তিন দিনের এক্সপো শুরু হয়েছে। প্রদর্শনীতে ৩২টি দেশের প্রায় ৭শ' দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। যেখানে চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট প্রসেসিং যন্ত্রপাতি, প্যাকেজিং ম্যাটারিয়ালস, উৎপাদনের সম্পূর্ণ স্পেকট্রাম প্রদর্শন করা হচ্ছে। এর মধ্যদিয়ে নতুন প্রযুক্তির আদান প্রদানে দেশের চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নে এই এক্সপো ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন অংশগ্রহণকারীরা।
প্রদর্শনকারীরা জানান, 'ইউনানী, হারবাল, হোমিও এই মেডিসিনগুলো বাংলাদেশে ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে এবং বাংলাদেশের ওষুধ এখন বাইরে রপ্তানি হচ্ছে।'
দেশে বর্তমানে ৩০৮টি কোম্পানি ২৭ হাজারেরও বেশি ব্র্যান্ডের ওষুধ উৎপাদন করে। এরমধ্যে কেবল ১১৭টি ওষুধের দাম নির্ধারন করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। অভিযোগ রয়েছে, কোম্পানিগুলো একই জেনেরিকের অধীনে নতুন নতুন ওষুধ উৎপাদন করে লাগামহীনভাবে দাম বাড়িয়ে চলেছে।