এ বিষয়ের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের অফিসার ইনচার্জ এমা ব্রিগহাম।
'কক্সবাজার ও ভাসানচরে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের জন্য একাধিক মানবিক সহায়তা প্রকল্প' শীর্ষক এ প্রকল্প কক্সবাজার ও ভাসানচরে বসবাসরত ১ লাখ ৭৬ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর কাছে পৌঁছাবে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একটি সমন্বিত এবং বহুমুখী মানবিক প্রতিক্রিয়ার উপর নজর রাখা, ভাসানচর এবং কক্সবাজারের সুবিধাভোগীদের মধ্যে সামাজিক ও আচরণগত পরিবর্তন নিশ্চিত করার সময় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কার্যক্রমে চালাবে সংগঠনটি।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, 'রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য অন্য শিশুদের মতো সমান অধিকার নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা ছাড়া শরণার্থী শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যতের কোনো আশা নেই। আবার নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সেবার অভাব শিশুদের অসুস্থতার ঝুঁকিতে ফেলে, তাদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে এবং তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনাকে হুমকির মুখে ফেলে।'
তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশে বিপন্ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য উদার অবদানের জন্য আমরা জাপান সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানাই। এই অমূল্য অবদানের মাধ্যমে আমরা আমাদের কার্যক্রম বিস্তৃত করতে, জীবন বাঁচাতে এবং রোহিঙ্গা শিশু ও তাদের পরিবারকে একটি লাইফলাইন দিতে সক্ষম হব।'
রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা আশা প্রকাশ করেন, জাপান সরকারের এই সহায়তা রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাবে।
আইওয়ামা বলেন, 'আমি উদ্বিগ্ন যে, রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত হওয়ায় শিশুদের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। জাপান মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনসহ টেকসই সমাধানের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে এবং শরণার্থী ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের উন্নত জীবনযাপনের জন্য ইউনিসেফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করবে। আশা করি জাপানের এই তহবিল রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের স্থানীয় জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে শিশুরা যে সব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে তা লাঘবে অবদান রাখবে।'
২০১৭ সালের আগস্টে জরুরি অবস্থা শুরুর পর থেকে জাপান বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী সাড়াদানের অবিচল সমর্থক হিসেবে কাজ করে আসছে এবং এই নতুন তহবিলের মাধ্যমে ইউনিসেফ ও জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা ও এনজিওগুলোকে ২২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ প্রদান করছে।