তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন বানচালের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়ার চক্রান্ত হয়েছিল। দেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদনে কোন সমস্যা হবে না। অনাবাদী জমি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। আর এবার রমজানে নিত্যপণ্যের কোন অভাব হবে না।’
শেখ হাসিনা জানান, বছরে ৪৫ হাজার কোটি টাকা কৃষিতে ভর্তুকি দেয় সরকার। খাবারের চাহিদার সঙ্গে উৎপাদনও বাড়ছে। খাদ্যশস্য সংরক্ষণের জন্য প্রতি বিভাগে সংরক্ষণাগার তৈরি করা হবে। ফলে সারা বছর কিনে খাওয়া যাবে।
মিউনিখ সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোন দেশ এবারের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি, কারণ তারা জানে আমি জিতে আসবো। যারা বাংলাদেশে নির্বাচন চায়নি, তারাই নির্বাচন নিয়ে কথা বলে। একটা দল আছে যাদের কিছুই ভালো লাগে না, কিন্তু পরে ঠিকই উন্নয়নের সুফল উপভোগ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের আকার নয় বরং নীতির শক্তিতে যে মানবতার রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক মুক্তি, সেই বার্তা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকসমূহের মাধ্যমে বন্ধুপ্রতিম দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সাথে সম্পর্কের ধারাবাহিকতা আরও দৃঢ় হয়েছে। এছাড়া সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উম্মোচিত হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান অর্থবছরে বাজেট সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংক থেকে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দ্রুত ছাড়ের আহ্বান জানাই। বাংলাদেশে সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বস্ত করে বিশ্বব্যাংক।’
বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধের ক্ষতিকর দিক এক জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকে না। এর প্রভাব সারাবিশ্বে ছড়িয়ে যায়। যুদ্ধে সারা বিশ্ব কষ্ট পাচ্ছে। শান্তভাবে পারিস্তিতি মোকাবেলা করায় দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে কম কষ্টে আছে বাংলাদেশ। অন্য দেশগুলোর চেয়ে স্থিতিশীলতা আছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সফরে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের শান্তি, সার্বভৌমত্ব ও সর্বাঙ্গীন নিরাপত্তার প্রতি অঙ্গীকার বলিষ্ঠরূপে প্রতিফলিত হয়েছে।’
এছাড়া ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামে ব্যক্তিগত এবং বাণিজ্যিক ব্যবহারের লক্ষ্যে বাংলাদেশে মেটা'র কার্যালয় স্থাপনে মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দিয়েছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।