মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

গাজা ভূখণ্ড এখন মৃত্যুপুরী : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

অবিরাম ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজা ভূখণ্ড মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

গাজা উপত্যকায় কিছুতেই থামছে না ইসরাইলি আগ্রাসন। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি হতাহত ও বিপর্যয়ের শিকার হওয়ায় অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটি মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। এ অবস্থায় ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত জি-টোয়েন্টির বৈঠকে যুদ্ধবিরতি ও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানে জোর দিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানায় তুর্কি।

সবাই যখন হামাস-ইসরাইলের যুদ্ধ বন্ধে মরিয়া, তখন সবদিক থেকে ইসরাইলকে সহায়তা করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো। এতে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটির উত্তরাঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে, দক্ষিণের রাফা শহরেও হামলার করার সাহস দেখাচ্ছে  ইসরাইল। তবে এর বিরোধীতা করলেও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ঠিকই ভেটো দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

এরইমধ্যে আবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিতে দেখা গেছে যুক্তরাজ্যকে। যেখানে বলা হয়, নিষেধ অমান্য করে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়স্থল রাফায় স্থল অভিযানে গেলে এবং গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশে বাধা দিলে ইসরাইলের কাছে অস্ত্র রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করতে বাধ্য হবে তারা। এমন ঘোষণার পরপরই গাজা ভূখণ্ডে প্রথমবারের মতো বিমান থেকে ৪ টন চিকিৎসা ও সহায়তা সরঞ্জামও ফেলেছে দেশটি।

এমন পদক্ষেপের মধ্যেই বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) আচমকাই ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় গাজায় যুদ্ধবিরতির ইস্যুতে। বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ভোটাভুটির পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিলে দেশটির আইনপ্রণেতাদের কক্ষে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে স্পিকার লিন্ডসে হোয়েল বলেন, 'আমি দুঃখিত, এমনটা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। আমি চেয়েছিলাম সবাই যেন তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারেন। সেইসঙ্গে সব পক্ষই যাতে ভোট দিতে পারে। কিন্তু এমনভাবে শেষ হলো, যা আমার প্রত্যাশার বাইরে। কারণ আমি পুরোপুরি নিশ্চিত ছিলাম যে সিদ্ধান্তটি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে।'

এদিকে গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই হিজবুল্লাহ ও আইডিএফ সেনাদের হামলা পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত ইসরাইল-লেবানন সীমান্ত। বুধবারও লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে থাকা হিজবুল্লাহর সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ হামলা চালানোর একটি ফুটেজ প্রকাশ করেছে ইসরাইল। এতে হিজবুল্লাহর তিনটি অপারেশনাল হেডকোয়ার্টার, একটি কমান্ড সেন্টার ও একটি সামরিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করছে আইডিএফ। তবে হতাহতের কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

ইএ