দেশে এখন
0

বাণিজ্য মেলায় পণ্য ছাড়ের উৎসব

মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার শেষদিকে ছাড়ের ছড়াছড়ি। কমদামে পণ্য কিনতে ভিড় ক্রেতাদের। বেশিরভাগ দোকানেই এ দৃশ্য। তবে কিছুটা ভিন্ন চিত্র শীতকালীন পোশাকসহ কিছু পণ্যে।

মাসব্যাপী চলা ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার পর্দা নামবে সোমবার। তাই শেষপ্রান্তে এসে মেলাপ্রাঙ্গণে বেড়েছে ক্রেতা-দর্শনার্থীর সমাগম।

এবার ১ জানুয়ারির পরিবর্তে কিছুদিন পিছিয়ে শুরু হয় বাণিজ্য মেলা। ফলে প্রথমে আসতে না পারা ক্রেতা-দর্শনার্থীরা শেষ সময়ে এসে কিনছেন পছন্দের পণ্য। সেই সঙ্গে পণ্যের দামের ছাড় পেয়েও খুশি তারা।

মেলায় সকল স্টলের চেয়ে বেশি ভিড় দেখা যায় ঘরোয়া জিনিসপত্রের দোকানগুলোতে। পরিবার পরিজনসহ আগত ক্রেতারা কিনছেন এসব পণ্য।

মেলা শুরুর সময় শীতের তীব্রতা থাকলেও শেষ সময়ে তাপমাত্রা বাড়ায় কমেছে গরম কাপড়ের বেচাকেনা। ফলে ক্রেতাদের কাছে বিশেষ মূল্য ছাড়ে শাল-চাদরের মতন গরম কাপড় বিক্রি করছেন দোকানিরা।

দেশিয় উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মেলার শেষ সময়ে এসে বেচাবিক্রিতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে বিদেশি বিক্রেতারাও। মেলার প্রতিটি স্টলেই ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিক্রেতারা বিশেষ মূল্য ছাড়ের কথা বলছেন। তবে অনেকের দাবি আরও দুটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন পেলে লক্ষ্য পূরণে সুবিধা হতো।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বহুজাতিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে সমানতালে পাল্লা দিচ্ছে দেশিয় ব্র্যান্ডগুলো। ক্রেতা দর্শনার্থীরা জানান দেশিয় পণ্যেই এখন তাদের বেশি আস্থা।

বিদেশি ক্রেতা আকৃষ্টের পাশাপাশি বাণিজ্য মেলায় দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিয়ে অভ্যন্তরীণ বাজারকেও সমৃদ্ধ করে। বিদেশি ক্রেতা আসায় পণ্য রপ্তানিরও সুযোগ সৃষ্টি হয়। মেলায় ২৯তম দিন পর্যন্ত টিকিট বিক্রি হয়েছে ৮লাখ ৬০ হাজার।

একসঙ্গে হাজারও ক্রেতা পেয়ে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোও বেশ ছাড়ে পণ্য বিক্রি করে মেলায়। তবুও এই ভিড়ের মধ্যে পণ্যের গুণগত মান সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করে বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকে পণ্যের বড় চাহিদাপত্র আসে। অর্জিত হয় বৈদেশিক মুদ্রা। ইপিবি বলছে প্রতিবছর বিদেশিদের চাহিদা বাড়ছে।