গেল বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর থেকে কোনো স্পন্সর ছিল না জাতীয় ক্রিকেট দলের। যদিও তখন স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিসিবির চুক্তির মেয়াদ ছিলো না।
কিউইদের বিপক্ষে তিন ফরম্যাটের সিরিজেও স্পন্সর খুঁজে পায়নি দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ফলে শান্তদের স্পন্সরবিহীন জার্সিতে খেলতে হয়েছে। অবশেষে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলো বিসিবি। আগামী সাড়ে তিন বছরের জন্য টেলিকম সেবা প্রদানকারী রবিকে পাশে পাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) হোম অব ক্রিকেটে ঘটা করেই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়েছে।
বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু বলেন, ‘রবি পরিবারকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বিসিবি পরিবারের সাথে সম্পর্ক গড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।’
চুক্তির বিনিময়ে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিটি বিসিবিকে ৫০ কোটি টাকা দেবে। এজন্য বিসিবির বেতনভোগী ক্রিকেটাররা কোনো নিয়ম নীতির আওতায় থাকবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দীন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘ক্রিকেটাররা যারা আমাদের বেতনভুক্ত তারা অন্য কোনো মোবাইল অপারেটরের সাথে কোনো চুক্তিবদ্ধ হতে পারবে না।’
এর আগেও রবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ২০১৫ সালে প্রথমবার যুক্ত হওয়ার পর ২০১৭ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে চুক্তিবদ্ধ হয় প্রতিষ্ঠানটি। যদিও সেবার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরে দাঁড়ায় রবি। তবে নতুন মেয়াদে পূর্ণাঙ্গ সময় বিসিবির সাথে থাকার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির উর্ধ্বতন কর্তারা। বিসিবি ও রবির চুক্তির মেয়াদ ২০২৭ সালের জুলাইয়ে শেষ হবে।