হল মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭২ টি বিভাগ আলাদা করে আয়োজন করেছে বিদ্যার দেবীর আরাধনার ব্যবস্থা। প্রতিটা বিভাগ যেন একজন আরেকজনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা। মন্ডপগুলো নির্মাণ হয়েছে প্রতিটি বিভাগের নামের আদলে।
সকাল ৮ টা নাগাদ প্রতিমায় প্রাণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শুরু হয় পুজোর আনুষ্ঠানিকতা। কয়েক দফায় অঞ্জলি নেন ভক্তরা। দেবীর কাছে প্রার্থনা করেন বিদ্যা-বুদ্ধির।
অঞ্জলির পরই নতুন শিক্ষার্থী হিসেবে শিশুদের হাতেখড়ি দেয়া হয় আগামীদিনের জ্ঞান সমৃদ্ধে।
পূজায় আসা ভক্তরা বলেন, 'অপেক্ষা করি সারা বছর কখন স্বরস্বতী পূজা আসবে সেই প্রতিক্ষায় থেকেই অনেক ভোরে ঘুম থেকে উঠে আসা। বিদ্যার দেবী মায়ের প্রার্থনা করতে।'
এদিকে এতো এতো বিভাগের শিক্ষার্থী, ভক্তদের ভিড়ে তিল ধারণের ঠাঁই নেই দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় স্বরস্বতী পূজার আয়োজনের মাঠে। আয়োজন নিয়েও সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন শিক্ষার্থীরা।
দেবী প্রতিবছরই মর্ত্যলোকে পৃথিবীর মানুষকে আশীর্বাদ করতে আসেন বলেই মনে করেন পুরোহিত।
ভক্তদের আকাঙ্ক্ষা - জ্ঞান ভিত্তিক ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনে বিদ্যার দেবীর আশীর্বাদে পুষ্ট থাকবে প্রিয় জন্মভূমি।