দিন দিন রঙ হারাচ্ছে সাভারের গোলাপ গ্রাম। কমছে ফুলের চাষ, আর বিভিন্ন আবাসন কোম্পানির আগ্রাসনে দিন দিন কমছে কৃষিজমি। তাই সম্ভাবনাময় এই খাতটির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত স্থানীয় গোলাপ চাষিরা।
ফাগুনের মতো প্রাণখোলা হাসি নেই সাভারের গোলাপ গ্রামে। কুঁড়িতে কুঁড়িতে লাগে না খুশির দোল। অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে কমেছে ফুলের উৎপাদন।
চাষিরা বলেন, ‘হাউজিং কোম্পানি কৃষিজমি কিনে নেয়ায় ফুল চাষ কমে গেছে। আর আগের মতো ফুল বাজারজাত করতে পারছি না।’
অথচ পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ বিভিন্ন দিবসকে কেন্দ্র করে ফুলের চাহিদা প্রতিবছরই বাড়ছে। তৈরি হচ্ছে ফুলের বাণিজ্যিক চাহিদা। এই চাহিদার বাণিজ্যিক মূল্য আমলে নিয়ে এখনও সাভারের বিরুলিয়া গ্রামের ফুল চাষিরা সরব।
সাভারের ফুল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়। এতে কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয়। তবে এবারের চিত্র অনেকটাই ভিন্ন।
চলতি মৌসুমে ফুল চাষকে কেন্দ্র করে স্বপ্ন দেখেন চাষিরা। নানা সংকটে চাষির ঠোঁটের হাসি মলিন হয়েছে। এক ফুল চাষি বলেন, ‘কীটনাশক দিয়েও আমরা ফুল গাছ বাঁচাতে পারছি না।’
ফসলি জমি রক্ষাসহ গোলাপের ছত্রাক নিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। সেই সঙ্গে আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চত হয়ে ফুলচাষে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
সাভার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা বলেন, ‘দিন দিন কৃষিজমি কমে যাচ্ছে। আর এতে গোলাপের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হচ্ছে না।’
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামে এ বছর ৩০৫ হেক্টর জমিতে গোলাপসহ বিভিন্ন ফুল চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩০ হেক্টর জমিতে গোলাপ চাষ হয়েছে।