দেশে এখন
0

থেমে থেমে গুলির শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্তের গ্রাম

মিয়ানমার কক্সবাজার সীমান্তজুড়ে চাপা আতঙ্ক। দিন রাত থেমে থেমে গুলির শব্দে কেঁপে উঠে সীমান্তের গ্রাম। কাজে যেতে না পারায় আয় উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে অনেকের। স্থবির হয়ে পড়েছে এখানকার মানুষের জীবনযাত্রা, অর্থনীতির চাকা।

সীমান্তের ওপার থেকে দিনের বেলা থেমে থেমে আসছে গুলির শব্দ। গতরাতে গুলির শব্দে কেঁপে উঠে কক্সবাজারের থাইংখালী, রহমতের বিল, উলুবুনিয়ার সীমান্ত।

ওপারে মিয়ানমারের ঢেকিবুনিয়া, কোয়াংচিপাং ও শীলখালী সীমান্ত ক্যাম্পে গোলাগুলি হয় সশস্ত্র বিদ্রোহী ও মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সাথে। বাসিন্দারা বলেন, আগের চাইতে গোলাগুলি কমলেও, চাপা আতংক ভর করে আছে সবার মাঝে।

উখিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় শুনশান নীরবতা। ১ সপ্তাহ ধরে শত শত একর ফসলি জমি, মাছের ঘেরে যেতে পারছেনা চাষিরা।

এলাকাবাসী বলেন, 'আমাদের এখানে সব লোক বেকার হয়ে গেছে। নদীতে ধরতে যাওয়া এখন বন্ধ হইয়া গেছে। কোন কাজ-কর্ম নাই সব বন্ধ। কোথায় গিয়া থাকমু সেইটাই বুঝতে পারতেছি না।'

সীমান্ত ঘেঁষা নাফ নদী। নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় টেকনাফ থেকে এ নদী হয়ে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটক জাহাজ শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে দুটি জাহাজ সেন্টমার্টিন যাবে। এ অবস্থা দীর্ঘায়িত হলে প্রভাব পড়বে এখানকার জীবন জীবিকা আর অর্থনীতিতে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, 'এখানে অনেক মানুষ আছে যারা নদীতে মাছ আর কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। আতঙ্ক বেশি তাই ওই দিকে যাইতে পারতেছে না। একজন নদীতে মাছ ধরতে গেছিলো তারে একসপ্তাহ আগে ধরে নিয়ে গেছে। কোন খোঁজ-খবর নাই।'

এদিকে সংঘর্ষের কারণে কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে টেকনাফ স্থল বন্দরেরও। কমেছে আমাদানি রপ্তানি।

এভিএস