আমদানি-রপ্তানি
অর্থনীতি
0

ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে রসুন আমদানি বন্ধ

ভারতের বাজারে রসুনের দাম বাংলাদেশের চেয়ে বেশি হওয়ায় ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে রসুন আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এই বন্দর দিয়ে রসুন আমদানি হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। তারপরও স্থানীয় বাজারে কমছে না রসুনের দাম।

ভারত থেকে আমদানি কমার অজুহাতে সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড়বাজারের আড়ত গুলোতে আমদানি করা রসুন ২১০টাকা থেকে ২৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত বছরের এই সময় প্রতি কেজি রসুন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। হঠাৎ করে প্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম বাড়ায় ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন। আর বড়বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন বন্দরে ভারত থেকে কোন রসুন আসছে না।

ক্রেতারা বলেন, '২৫০ টাকা কেজি রসুন গরিব মানুষ কীভাবে কিনবে। আগে ১৮০ টাকায় কিনতাম।'

ব্যবসায়ীরা বলেন, 'বাজারে সরবারহ স্বাভাবিক থাকলে দাম কমবে, বাড়বে না। এখন যদি ভোমরা থেকে রসুন আমদানি হয় তাহলে দাম কমবে।'

ভোমরা বন্দরের আমদানিকারকরা বলছেন রসুন আমদানিতে ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি এবং ভারতের বাজারে সব ধরনের রসুনের বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় আমদানি বন্ধ রেখেছেন। বর্তমানে শুধুমাত্র চায়না থেকে রসুন আমদানি করা হচ্ছে। ভারতের বাজারে রসুনের দাম কমলে সেখান থেকে আবারও আমদানি করা হবে।

ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানিকারক কবির হাসান বলেন, 'গত ৩ থেকে ৪ মাসে ভারত থেকে কোন রসুন আমদানি হয়নি। কারণ ভারতে ওদের যে দর তার থেকে আমরা কম দামে বিক্রি করছি। আগামী ২০ দিনের মধ্যে বাজার ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমে যেতে পারে বলে আশা করছি। কারণ কিছু কিছু জায়গায় ইতিমধ্যে নতুন রসুন উঠা শুরু হয়েছে।'

অপর আমদানিকারক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, 'বাংলাদেশি রসুন না থাকলেও চীন থেকে প্রচুর পরিমাণে রসুন আসে। চীনের রসুন চট্টগ্রাম থেকে এনে বিক্রি করা হয়।'

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের তথ্যমতে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এ বন্দর দিয়ে রসুন আমদানি হয়েছে ১৩ হাজার ১৭১ টন। যার আমদানি মূল্য ২০৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

গত অর্থবছরের একই সময় আমদানি হয়েছিল ৭ হাজার ৩১৯ টন। যার আমদানি মূল্য ছিল ১০৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে এবার ৫ হাজার ৮৫২ টন বাড়তি আমদানি হয়েছে।