স্টেডিয়ামে আসা দর্শকদের জন্য এমন ১৫ থেকে ২০ টি দোকান বসে। স্থানভেদে প্রতিটি দোকান নিতে খরচ হয় ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত। বিসিবি নিলামের মাধ্যমে দোকান বরাদ্দ দিলেও খাবারের দাম নির্ধারণ করে নিজেরাই। যা টাকার অংকে বাইরের চেয়ে ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি। যেখানে ১ গ্লাস পানির মূল্যই রাখা হয় ১০ টাকা। যা অনেকটাই অস্বস্তিকর খেলা দেখতে আসা দর্শকদের জন্য।
একজন ক্রেতা বলেন, 'এক গ্লাসে সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম কোক থাকে। তা ৩০ টাকা করে বিক্রি করলে লিটারে ৩০০ টাকা আসে। এরা সার্ভিস চার্জ থেকে অনেক কিছু দেখাতে পারে। কিন্তু ৬০ টাকা লিটার কোক কিভাবে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দাম হয়? আর খাবারের দাম যেমন, মান হিসেবে তেমন না।'
যদিও বিক্রেতাদের দাবি, তুলনামূলক কম দামেই বিক্রি হচ্ছে এসব খাবার। যা বিসিবি নির্ধারিত দামের চেয়েও কম। তবে এতো টাকা দিয়ে দোকান নিয়েও বিসিবির সার্ভিসে হতাশ বিক্রেতারা। আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের তকমা নিয়ে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই চলছে খাবারের ব্যবসা।
একজন বিক্রেতা বলেন, 'বিসিবির নির্ধারিত মূল্য তালিকা থেকেও আরও কমদামে বিক্রি করছি। যেন ক্রেতারা কিনে খেতে পারে।'
মিরপুরে খেলা মানেই অনেকের বাড়তি আয়ের সুযোগ। তবে সেটা নিয়মতান্ত্রিকভাবে হলেই জনসাধারণের জন্য মঙ্গল হবে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।