বাংলাদেশ ও ভারতের স্থলবাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর। প্রতিবছর এই বন্দর দিয়ে যাতায়াত করেন প্রায় ২২ লাখ যাত্রী। দুই দেশের যাত্রী পারাপার ও পণ্য পরিবহনকে সহজ করতে নির্মাণ হচ্ছে নতুন বন্দর। চলতি বছরেই শেষে হবে এই নির্মাণযজ্ঞ।
নতুন বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি গতিশীল হওয়ার পাশাপাশি যাত্রী পারাপারে ভোগান্তি কমলেও শঙ্কায় রয়েছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও দিনমজুররা। তাদের দাবি, বন্দর নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ করা হলেও প্রতিশ্রুতি রাখেনি সরকার। জমির মালিকদেরও নির্মাণ কাজে যুক্ত করার আশ্বাস ছিল। কিন্ত শেষমেষ তা না পাওয়ায় এবার উন্নত হওয়া বন্দরে কাজ জুটবে কি না তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। আগামীতে জীবন-জীবিকা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় তারা।
এদিকে বন্দর আধুনিকায়নে বাড়বে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। ফলে যাত্রী সুবিধার পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়ন হলেও কর্মসংস্থান সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানালেন পেট্রাপোল শুল্ক দপ্তরের ক্লিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, 'এই বন্দর আধুনিক হওয়ার সাথে সাথে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হারাবে। সীমান্ত অঞ্চলে এই অতিআধুনিকতা আমাদের কর্মসংস্থান শেষ করে দিচ্ছে। অভাব মানুষকে তাড়া করে বেড়াবে। কর্মের ব্যবস্থা হারালে ছিনতাই রাহাজানি বাড়বে।'
হিসেব বলছে, যাত্রীদের লাগেজ ও মালামাল পারাপারে শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৪০০ জন। রয়েছেন হাজারেরও বেশি ব্যবসায়ী ও শতাধিক অটোচালক।