ফেনী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ফাতিমা পারহীন দিয়া। শখের বশেই কেক বানানো শুরু করেন। এখন ভালো লাগার এই কাজটি উপার্জনের অন্যতম অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। প্রতি মাসে কেক তৈরি করে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করছেন।
দিয়া বলেন, ‘প্রথমে শখের বশেই কেক তৈরি করেছিলাম। এখন নিয়মিত কেক বানিয়ে আয় করতে পারছি, সবমিলিয়ে ভালো লাগছে।’
গৃহিণী ফৌজিয়া হক চৌধুরী। বিয়ের পর শাশুড়ির কাছ থেকে কেক বানানো শেখেন। করোনার সময় যখন চারপাশ স্থবির, তখন স্বামী-শাশুড়ির সহায়তায় কেক তৈরি করে মাসে লাখ টাকা আয় করেন। গুণগত মানের কারণে জেলার সবখানে তার নামডাক ছড়িয়ে পড়ে।
ফৌজিয়া বলেন, ‘হোমমেড কেকের প্রতি মানুষের ধারণা বদলেছে। তারা জানেন, ঘরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে কোয়ালিটি মানের কেক তৈরি করা যায়। আর ফেনীতে দিন দিন এসব কেকের চাহিদাও বাড়ছে।’
শুধু এই দুই নারীই নয়, ফেনীতে কেক তৈরি করে আর্থিকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন এমন নারীর সংখ্যা দুই শতাধিক। তাদের এই পথচলার সারথি পরিবারের বাকি সদস্যরা।
প্রশিক্ষণ, সরকারি-বেসরকারি সহায়তা পেলে ঘরোয়া এই শিল্পটির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান এই উদ্যোক্তারা।
ফেনী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আইনুল কবির শামীম বলেন, ‘এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা প্রয়োজন।’
ঘরে তৈরি এসব কেক পাউন্ড প্রতি ৪শ’ থেকে ১৩শ’ টাকায় বিক্রি হয়। দোকানের চেয়ে দাম কিছুটা বেশি হলেও ভালো মানের কারণে এসব কেকেই স্বস্তি ভোক্তাদের।