মোল্ড তৈরি, কাটিং থেকে প্যাকেজিং পর্যন্ত সব ধরনের মেশিন নিয়ে হাজির হয়েছেন বাংলাদেশসহ ২১টি দেশের ৬৫৪টি কোম্পানি।
তারা বলেন, 'আমাদের এই মেশিনে প্রতি মিনিটে ২০০ পিস ব্যাগ উৎপাদন করা সম্ভব। এই মেশিন দিয়ে যদি আমরা প্লাস্টিক উ৭পাদন করি তাহলে অপচয়ের পরিমাণ খুবই কম হয়।'
সরাসরি উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখা এবং প্রযুক্তির ব্যবহার শেখার উদ্দেশ্যে মেলায় হাজির হয়েছেন দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তা, কোম্পানির প্রতিনিধিসহ প্লাস্টিক খাত সংশ্লিষ্টরা।
উদ্যোক্তারা বলেন, 'পলিগুলো পুনর্ব্যবহার করে আবার নতুন করে কাপড় তৈরি করতে পারছি। এটা এর আগে আমি আর দেখি নাই। আমাদের কাজের জায়গায় যেন এগুলোকে কাজে লাগাতে পারি সেজন্য এখানে এসেছি। বিদেশি বায়ারদের সাথে যোগাযোগের একটা মাধ্যম হলো এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী।'
য্ন্ত্রপাতি ছাড়াও প্লাস্টিকের কাঁচামাল, রং ও উৎপাদিত যন্ত্রাংশের স্টল রয়েছে এখানে। আসবাবপত্র থেকে খেলনা পর্যন্ত সবকিছুই রয়েছে।
বুধবার এই মেলার উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী। আর বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের সাথে পাট যুক্ত করার পরামর্শ দেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, 'প্লাস্টিকের প্রযুক্তি নিয়ে যারা কাজ করছেন, পাটকে প্লাস্টিকের সাথে মিলিত করে কাজ করতে পারেন। আমি জার্মানিতে দেখেছি পাট এবং প্লাস্টিক দিয়ে গাড়ির বডি তৈরি করতে।'
শিল্পমন্ত্রী মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, 'আমরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছি। আপনারা জানেন আমাদের প্লাস্টিক শিল্প নগরীও হচ্ছে।'
আইসিসিবিতে ৪ দিনের এই আয়োজন চলবে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।