সম্প্রতি বাজারে ধানের দাম কিছুটা বাড়লেও চালকল মালিকদের আগের কেনা ধানের চালও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। অনেক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও চালকল গুদামে যথেষ্ট ধান-চাল মজুদ থাকায় চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা।
সাধারণ ক্রেতারা বলেন, 'এটা অবর্ণনীয় কষ্ট, মোটা চালের দামও ৫ থেকে ৭ টাকা বৃদ্ধি পাইছে। আমরা যারা দিনমজুরি করি তাদের তো অনেক কষ্ট। শীতের কারণে তেমন আয় নাই আবার জিনিসের দাম বাড়তি।'
এ অবস্থায় মঙ্গলবার চালকল মালিক, ব্যবসায়ী ও খাদ্য বিভাগের সাথে সমন্বয় সভা করে চালের দাম নির্ধারণ করেছে জেলা প্রশাসন। তবে বুধবার নতুন করে না বাড়লেও সব ধরণের চাল আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বিক্রেতারা বলেন, 'চালের বাজার ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়ে গেছিলো। এখন আগের অবস্থায় আছে। দাম নতুন করে বাড়ে নাই। সরু চাল ৬৮ থেকে ৭০ টাকা আর ২৮, ৪৯ জাতের চাল ৫৫ টাকা বিক্রি করতেছি।'
এদিকে প্রশাসনের বেধে দেওয়া দামে চাল বিক্রি করলে লাভ থাকবে না দাবি করে চালকল মালিকরা বলছেন সরকারের নির্দেশনা মেনে চলবেন তারা।
চাউলকল মালিকরা বলেন, 'ব্যাংক ঋণ, কর্মচারি খরচ, উৎপাদন খরচসহ সব হিসেব নিকেশ করে আমরা কিছু লোকসানেই থাকবো।'
চালের দাম নিয়ন্ত্রণে খাদ্যবিভাগ, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনসহ একাধিক এজেন্সি মাঠে নেমেছে। শুরু হয়েছে মজুত বিরোধী অভিযান।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন বলেন, 'এই বাজারদর উনারা মেনে নিয়েছেন এবং দাম বাড়ার আগের বাজারদরে আমরা ফিরে গিয়েছি। জেলা প্রশাসন, পুলিশ, ভোক্তা অধিকার, কৃষি বিভাগ এবং খাদ্য বিভাগের সকলেই সারাক্ষণ মাঠে আছি।'
বগুড়ায় খুচরা পর্যায়ে সরুজাতের চাল ৬৫ টাকা, মাঝারি ৫৫ ও মোটা ৪৯ টাকায় বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। মিলগেটে যা ৩ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।