উত্তরের জনপদে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে বিপর্যস্ত জনজীবন। অনেক স্থানে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এদিকে শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজশাহীতে কুয়াশা আর হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। তবুও জীবিকার তাগিদে মাঠে যাচ্ছেন কৃষকরা।
ঘন কুয়াশায় মহাসড়কে নিরাপদ চলাচলে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ী। বাতাসের প্রবাহ বাড়ায় রিকশা ও ভ্যানের চালকরা দুর্ভোগে পড়ছেন। মধ্য দুপুরেও সূর্যের দেখা না মেলায় দিনের শেষে শীতের অনুভুতি আরও বাড়বে বলছে রাজশাহী আবহাওয়া অফিস।
স্থানীয়রা বলেন, ‘রোদ নেই, কাজ করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। শীত আর বাতাসের কারণে চলাফেরাও করা যাচ্ছে না।’
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা মেহেরপুরেও শীতের তীব্রতা বেড়েছে। হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ নিম্ন আয়ের মানুষরা পড়েছেন বিপাকে। জেলায় সর্বনিম্ন ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
সিএনজি অটোর চালকরা বলেন, ‘শীতের কারণে বাইরে মানুষ বের হতে পারছে না। আমরা ভাড়াও পাচ্ছি না।’
এদিকে মৌলভীবাজারে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শীতে সাধারণ মানুষের কাজে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
বরিশালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, শীতজনিত রোগ থেকে বাঁচতে বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে।
হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার সাহা বলেন, 'বাচ্চাদেরকে অহেতুক বাইরে নিয়ে বের হবেন না। এছাড়া শীতজনিত রোগ থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকতে হবে।'
আবহাওয়া অফিস বলছে, চলতি মাসের পুরো সময় শীতের দাপট থাকবে। এছাড়া নতুন নতুন অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে।