এখন ভোট
0

কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম

ব্যালট পেপার ছাড়া অন্যান্য নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে দেশের সব ভোটকেন্দ্রে। গুরুত্বপূর্ণ ও অতিগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় কেন্দ্রগুলোতে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা।

ভোটগ্রহণের শেষ সময়ের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে শুরু হয় ঢাকার ১৫টি আসনে সরঞ্জাম বিতরণ। এসব আসন থেকে সব সামগ্রী চলে যায় ২ হাজার ৯৯টি কেন্দ্রে।

নির্বিঘ্নে ভোট সম্পন্ন করতে নিয়োজিত আছেন ৯৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও ৩৫ হাজার ৬৯৪ জন পোলিং অফিসার। এছাড়া, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে থাকবেন ১৬৩টি সংস্থার ১ হাজার ২৫৬ জন পর্যবেক্ষক। এবারের নির্বাচনে ঢাকার ১৫টি আসনে ভোটার সংখ্যা ৫৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯২২ জন। ভোটারদের নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা সাবিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, 'ভোটারদের আশ্বস্ত করছি, ভোটাররা নির্বিঘ্নে, নিরাপদে ভোট দিতে আসবেন। কিছু অপশক্তি, দুষ্কৃতিকারীরা তাদের মত করে চেষ্টা করবে নির্বাচন বন্ধ করার। কিন্তু শুভ এবং অশুভ শক্তির দ্বন্দ্বে সবসময় শুভর জয় হয়।'

এদিকে নির্বাচনে সব ধরনের নাশকতা এড়াতে প্রস্তুত রয়েছে ডগ স্কোয়াড, টহল টিম ও হেলিকপ্টার।

র‌্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন বলেন, 'নির্বাচন শান্তি এবং সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্ন করার জন্য সবধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করেছি। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাই সঠিক সময়ে উপস্থিত থাকবেন।'

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে নির্বাচনের আগের দিন নগরীর জিমনেসিয়াম হল থেকে সব কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে ব্যালট বাক্স ও স্টেশনারি সামগ্রীসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম। পৌঁছে দেয়া হয়েছে ২ হাজার ২৩টি কেন্দ্রে। এরমধ্যে নগরীর ৪৪৬টি ও জেলার ৪০ শতাংশ কেন্দ্রকে অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা।

কুমিল্লার নির্বাচন পর্যবেক্ষণে নিয়োজিত রয়েছে ৩৬ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট, ৫৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ১১টি আসনের ১ হাজার ৪৩৫টি কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনের সকল সরঞ্জাম।

নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে দুর্গম ও উপকূলীয় এলাকাতেও। যে কোন ধরণের সহিংসতা এড়াতে প্রস্তুত সেখানকার প্রশাসন।

ময়মনসিংহের ১১টি আসনে হচ্ছে ৭২ প্রার্থীর প্রতিযোগিতা। জেলায় ১ হাজার ৩৬০টি কেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়েছে ৭২০টি। সব কেন্দ্রে পোঁছে গেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম।

ময়মনসিংহের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, 'প্রতিটি উপজেলায় সেনাবাহিনী, র‌্যাব, ব্যাটালিয়ন আনসার এর মাধ্যমে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।'

সিলেটে ৬টি আসনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে ১ হাজার ১৩টি কেন্দ্রে। যার বেশিরভাগই গুরুত্বপূর্ণ। নগরী জুড়ে নিরাপত্তার জন্য আছে ২৮ প্লাটুন বিজিবি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মাঠে আছে সেনাবাহিনী।

এদিকে, বরিশালের ৬টি আসনের ২১ লাখ ভোটারের জন্য প্রস্তুত ৮২৭টি কেন্দ্র। নিরাপত্তাসহ সব ধরণের পদক্ষেপ শেষ হয়েছে।

এসব কেন্দ্রে ব্যালট পেপার যাবে রোববার (৭ জানুয়ারি) সকালে। তবে দুর্গম এলাকার কেন্দ্রগুলোতে আজই যাবে ব্যালট পেপার।

এসএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর