কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
দেশে এখন
0

চলনবিলে বছরে ২০০ কোটি টাকার ডিম উৎপাদন

প্রাকৃতিক খাবারের উৎস থাকায় দিন দিন চলনবিলে বাড়ছে ভ্রাম্যমাণ হাঁসের খামার।

লালন পালনে খরচ কম হওয়ায় বছরে ডিম উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ২০০ কোটি টাকার। তবে শুকনো মৌসুমে খাবারের দাম কমানোর দাবি খামারিদের।

এদিকে সিংড়ার চলনবিল গেটে সপ্তাহে দু'দিন ডিম বিক্রি হয় ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার।

সুবিশাল এলাকা জুড়ে অবস্থান চলনবিলের। এর নানা সম্পদের মধ্যে- প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎস অন্যতম। স্থানীয়রা এ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে আয়ের একটি অন্যতম খাত তৈরি করেছেন। বর্ষাকালে উন্মুক্ত বিলে শামুকসহ নানা খাবার খাইয়ে হাঁস পালন করেন তারা।

প্রতিবছরই বাড়ছে ভ্রাম্যমাণ হাঁসের খামারের সংখ্যা। এজন্য বিলের বিভিন্ন খালের পাড়ে অস্থায়ীভাবে ছাউনি বানান তারা। বছরে ৬ মাস বিলেই অবস্থান করে চলে হাঁস লালনপালন।

খামারিরা বলেন, ‘হাঁস অনেক ডিম দেয়, খাবার যদি ভালো দেয়া যায় তাহলে ডিমেরও পরিমাণ বেড়ে যায়। হাঁস যদি ঠিকমত পালন করা যায় তাহলে এটা একটা লাভজনক ব্যবসা।’

এবছর অন্তত ১ হাজার দুই'শ টি খামারের প্রতিটিতে সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে ১ হাজার হাঁস লালন পালন করা হয়। এতে দিনে ডিম উৎপাদন হয় অন্তত ১ কোটি। স্থানীয় বাজারমূল্যে বছরে প্রায় দুই'শ কোটি টাকার ডিম উৎপাদন হয় চলনবিল থেকে।

নাটোর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমরা টিকা দেয়ার মাধ্যমে হাঁসের রোগ বালাই দূর করেছি। চলনবিলে প্রাকৃতিক খাবার থাকায় এখানে হাঁস পালনে খরচ খুবই কম হয়। আমরা খামারিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’

এদিকে শীতে চাহিদা বাড়ায় ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে চলে ডিম বেচাকেনা। প্রতিটি বিক্রি হয় ২০ থেকে ২২ টাকায়। তবে নানা হাত ঘুরে খুচরা পর্যায়ে বেড়ে যায় ডিমের দাম।

সিংড়ার বালুয়া-বাসুয়া মোড়ে সপ্তাহে সোম এবং বৃহস্পতিবার বসে বিশেষ হাট। এসময় পাওয়া যায় কেবল খামার থেকে আসা হাঁসের ডিম। ৬টি আড়তে ডিম কেনাবেচা হয় অন্তত ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ।

চলনবিলে যখন পানি শুকিয়ে যায়, তখন প্রাকৃতিক খাবারের উৎস কমে আসে হাঁস খামারিদের। এতে নির্ভরশীল হয়ে পড়তে হয় ফিডের ওপর। তখন প্রতি পিস ডিম উৎপাদনে খরচ হয় ১০ থেকে ১২টাকা। এজন্য ফিডের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা চান খামারিরা।

আরও পড়ুন: