দেশে এখন
0

নানা আয়োজনে নতুন বছর বরণ নগরবাসীর

দশ দিগন্তে আলোক রেখা ছড়ালো নতুন বছরের প্রথম সূর্য। ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে খসে পড়লো আরেকটি বছর। এভাবেই পাখির ডানায় ভর করে উড়ে সময়। বাড়ে পৃথিবীর বয়স।

ফেলে আসা দিনে পিছুডাক থাকলেও নতুন স্বপ্ন দেখে মানুষ। আশার ফানুস ওড়ায় নতুন দিনের। কারণ যেদিন যায় তা আর ফেরে না। থেমে থাকে না ঘড়ির কাঁটা। স্মৃতির মলাট বন্ধ করে তাই অনেকেই বেরিয়েছেন নতুন বছর বরণে। বন্ধুর আড্ডায় ফিরেছে প্রাণ।

নগরবাসী বলেন, ২০২৩ সাল ভালোই গেছে। তবে নতুর বছরে আরও ভালো কিছুর প্রত্যাশা থাকবে।

বাবা মায়ের হাত ধরে শিশুরাও গায়ে মাখছে নতুন দিনের প্রথম আলো। কলকাকলিতে মুখর চারপাশ। তাদের কাছে বছরের প্রথম দিন মানেই নতুন বইয়ের গন্ধ। একটা দিন সন্তানদের দিতে বাবা মায়ের কত আয়োজন।

শিশুরা জানায়, বছরের প্রথমদিন তাই আনন্দ করছে। বাবা-মার সাথে ঘুরে উৎফুল্ল তারা।

প্রিয়জনের সাথে সময় কাটাচ্ছেন অনেকেই। আয়োজন করে পড়েছেন শাড়ি পাঞ্জাবী। স্মৃতির পাতা দীর্ঘ হচ্ছে শাটারের একেকটা শব্দে।

নতুন বছরের শুভেচ্ছায় কার্ডের প্রচলন আর নেই বললেই চলে। মুঠোফোনের শুভেচ্ছা বার্তাই এখন ভরসা। তবুও অনেকেই ফুল কেনেন। খোপায় গুঁজে দেন প্রিয়তমার। হোটেল রেস্টুরেন্টে চলে আড্ডা। কফির কাপে চুমুক দিয়েও হয় নতুন বছর শুরু। বিনিময় হয় অভিজ্ঞতা, চাওয়া-পাওয়ার।

তরুণ-তরুণীরা বলেন, 'বছরের প্রথমদিন তাই বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে আসছি। এটা একটা বিশেষ দিন তাই উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করে থাকি।'

যদিও সময়ের সাথে সাথে পাল্টেছে উৎসব উদযাপনের ধরণ।

অভিনেত্রী বন্যা মির্জা বলেন, 'আমাদের উল্লাসগুলো ফেটে পড়ার মতো কেন হয় যা অন্যকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। অতিরিক্ত শব্দ যেকোন মানুষকে বিরক্ত করে।'

তেইশের প্রায় পুরোটা জুড়েই ঊর্ধ্বমুখী ছিলো বাজার। নতুন বছরের প্রত্যাশা বাজার হোক স্থির, কৃষক শ্রমিকরা পাক ন্যয্য পাওনা। দেশ এগিয়ে যাক বহুদূর।

আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, 'ফসল আর শাকসবজির বেশিরভাগ লাভ মূলত ব্যবসায়ীরাই নেয়। তবে পর্যায়ক্রমে কৃষকদের উন্নতিও হবে।'