এতে যাত্রী দুর্ভোগ আরও কমলো, যোগাযোগ দৃঢ় হলো রাজধানীর উত্তর থেকে দক্ষিণের। তবে সকাল-সন্ধ্যা পর্যন্ত মেট্রোর সুবিধা ভোগ করতে মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে যাত্রীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্ত্রী আর সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর উত্তরের এলাকা আবদুল্লাহপুর থেকে শাহবাগ ডাক্তার দেখাতে এসেছেন সাদেকুল ইসলাম। আগে বাসে আসতে দুই-আড়াই ঘণ্টা সময় লাগলেও এখন এসেছেন মাত্র ২৬ মিনিটে। শোনালেন, ভোগান্তিহীন যাত্রার অভিজ্ঞতা।
বলেন, ‘গতকাল অনলাইনে দেখলাম যে আজকে শাহবাগ মেট্রোরেল থামবে। তাই পরিবার নিয়ে এখানেই নামলাম।’
মেট্রোরেলের শাহবাগ স্টেশনে সাদেকুলের মতো চিকিৎসা নিতে আসা যাত্রীর সংখ্যাই বেশি। আশেপাশে কয়েকটি হাসপাতাল থাকায় সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি রোগী ও স্বজনেরা নির্বিঘ্নে আসতে পারছেন এই এলাকায়। মেট্রোর ১৬ স্টেশনের সবশেষ হিসেবে শাহবাগ যাত্রী পরিবহন শুরু করায় উচ্ছ্বাস যাত্রীদের।
তারা বলেন, ‘শাহবাগ এলাকায় দুটি বড় হাসপাতাল রয়েছে, এখান চিকিৎসার জন্য অনেক দূর থেকে মানুষ আসছে মেট্রোরেলে।’
এদিকে আরেক স্টেশন কারওয়ান বাজারেও অফিসগামী যাত্রীদের ভিড়। ৪ নভেম্বর উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চালু হলেও কারওয়ান বাজারের যাত্রীদের নামতে হতো ফার্মগেটে। সেখানেও স্বস্তি। এবার তারা নামতে পারছেন কর্মস্থলের কাছাকাছি।
এক যাত্রী বলেন, ‘এই মেট্রোরেলের জন্য দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় বেঁচে গিয়েছে আমার। সবচেয়ে ভালো দিকটা হলো আরামদায়ক একটা যাত্রা।’
তবে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেট্রোতে ভ্রমণ করতে অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও তিন মাস।
একই সাথে মেট্রোরেলের কয়েকটি স্টেশনের পূর্ণাঙ্গ কাজ শিগগিরই শেষ হওয়ার আশ্বাস দিলেন ডিএমটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক।



