পদ্মা সেতু চালুর পর রাজধানীর সঙ্গে বরিশালে সড়কপথে ৮ ঘণ্টার পথ নেমে এসেছে সাড়ে তিন ঘণ্টায়। পদ্মা সেতুর সুফল ভোগ করছে বরিশাল অঞ্চলের মানুষ। এ সেতু চালুর পর প্রথম বরিশাল যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জনসভায় বক্তব্য দেবেন।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ বলেন, 'সর্বস্তরে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। সকল স্তরের মানুষ জনসভায় অংশগ্রহণ করবে। শেখ হাসিনার এ সভা আমরা সাফল্যমণ্ডিত করব।'
বরিশাল থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ১১০ কিলোমিটার। একসময় বরিশাল থেকে সড়কপথে কুয়াকাটা পৌঁছাতে হলে ছয়টি স্থানে ফেরি পার হতে হতো। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে লাউকাঠি নদে পটুয়াখালী সেতু নির্মাণ করা হয়।
পর্যায়ক্রমে কীর্তনখোলা নদীর ওপর শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতু, খেপুপাড়ায় আন্ধারমানিক নদের ওপর শহীদ শেখ কামাল সেতু, হাজীপুরে সোনাতলা নদীর ওপর শহীদ শেখ জামাল সেতু, মহিপুরে খাপড়াভাঙ্গা নদীর ওপর শহীদ শেখ রাসেল সেতু নির্মিত হয়।
সবশেষ নির্মিত হয় পায়রা সেতু। এছাড়া নির্মাণ হয়েছে শেখ হাসিনা সেনানিবাস, হাইটেক পার্ক, পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা বন্দরসহ অনেক কিছু। এখনও বরিশালবাসীর দাবী অনেক বলে জানান বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, 'এ অঞ্চলে গ্যাস যেন দ্রুত আসে সে বিষয়ে শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করব। জনগণের পক্ষ থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ছয় লেনের রাস্তা তৈরি করার প্রস্তাব জানাব।'
বরিশাল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে হচ্ছে জনসভার আয়োজন। নিরাপত্তায় ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে মেট্রোপলিটন পুলিশ।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জিহাদুল কবির জানান, 'আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি।'
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সবশেষ বরিশাল সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।