যমুনা অববাহিকায় গড়ে ওঠা বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলার অধিকাংশ মানুষ নদী ভাঙ্গন কবলিত। নদীর একপাশে রয়েছে ছোট বড় ৭২টি চর। দরিদ্র সীমার মধ্যে বসবাস করেন ৪২ ভাগ মানুষ। ভোটারদের কথায় বেকারত্ব নিরসন, বাসস্থান, শিক্ষা ও আর্থ সামাজিক অবস্থার তেমন উন্নয়ন হয়নি আসনটিতে। তবে এবার সাধারণ ভোটারের চাওয়া পাওয়া গুরুত্ব দিতে চান নৌকার প্রার্থী ও গতবারের সংসদ সদস্য।
বগুড়া-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাহাদারা মান্নান বলেন, 'নদীভাঙ্গন থেকে মানুষকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। সারা বাংলাদেশের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোনাতলা সারিয়াকান্দিরও উন্নয়ন করবেন।'
বেকার সমস্যাসহ এলাকার নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে নানা পরিকল্পনার কথা জানান স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তার সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করতে চান তারা। কৃষি ভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান ও নৌ বন্দর স্থাপনের মাধ্যমে এলাকার বেকার সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অনেক প্রার্থী। ভোটের নিরপেক্ষতা দাবি করেন প্রার্থীরা। সুষ্ঠু ভোট হলে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তারা।
বগুড়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপি বলেন, 'আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনগণকে ভোট দেয়ার সুযোগ করে দিলে জনগণ বেছে নেবে তারা কাকে চায়।'
স্বতন্ত্র প্রার্থী কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'জনগন ও সরকারকে সাথে নিয়ে এ অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক শিল্পায়নের জোয়ার সৃষ্টি করতে চাই। নদী ভাঙ্গন কমাতে নদী বেঁধে দিয়ে নদীর চলাচল ব্যবস্থা উন্নত করতে চাই।'
স্বতন্ত্র প্রার্থী শোকরানা জানান, 'প্রথম কাজ হবে নদীভাঙ্গন রোধ করা। কারণ নদী এভাবে ভাঙ্গতে থাকলে বগুড়া শহরের করতোয়ার সাথে গিয়ে মিলিত হবে।'
বগুড়া-১ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৫ হাজার ১৯ জন । এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৮৯ জন ও নারী ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬১৬। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৪ জন।