ধর্ম
দেশে এখন
0

চট্টগ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশে বড়দিন পালিত

বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন গির্জায় এসেছে শুভ বড়দিনের বার্তা।

নতুন বছর, ডিসেম্বরের হিমেল হাওয়া, আর ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পাথরঘাটা পবিত্র জপমালা রানী গির্জাকে দিয়েছে ভিন্ন উৎসবের রঙ। গির্জা প্রাঙ্গনে যিশুর আগমনী গান ছড়িয়ে দিচ্ছে আনন্দের সুরমালা।

বাহারি আলোকসজ্জা, নান্দনিক ঢং ও চোখ ধাঁধানো পরিকল্পনায় প্রতিবারের মতো সাজানো হয়েছে গির্জা। একসাথে দুটি বিশেষ প্রার্থনায় এবার এখানে অংশ নিবেন চট্টগ্রামের নানা প্রান্তের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা।

গির্জা সজ্জা সমন্বয়ক লিওন ক্রাওলি বলেন, 'আলোকসজ্জার ধারণা দেয়া, যিশুর জন্মস্থান গোশালা তৈরি করা, ক্রিসমাস ট্রি সাজানো এগুলো করা হয়। তার শান্তির বার্তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ুক।'

বড়দিনের আগের রাত মানে কেবল প্রার্থনা নয়৷ এদিন গির্জা প্রাঙ্গণ হয়ে উঠে খ্রিস্টানদের মিলনমেলার আনন্দস্থান। এখানে ছুটে আসেন বিদেশিরাও। তারা বলেন, সকল সহকর্মীদের সাথে বড়দিন উদযাপন করি, 'ফিলিপাইন খাবারও খাই। আমরা এখন আমাদের পরিবার থেকে অনেক দূরে আছি। তাই এখানে এসে তাদের জন্য প্রার্থনা করছি।'

শান্তির বরপুত্র যিশু

বড়দিনে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে ঘরে ঘরে। এসময় ক্রিসমাস ট্রি, বড়দিনের বিশেষ কেক, পিঠা ও সান্তা'র উপহার উৎসবে দেয় পূর্ণতা।

খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বলেন, 'আমরা আগে থেকেই বড়দিন আসার বার্তা দেই। এ দিনটাতে খুব আনন্দ এবং ঘুরাফেরা করি।'

খ্রিষ্ট ধর্ম মতে, আজ থেকে ২০২৩ বছর আগে মানবজাতির মাঝে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতেই যিশুর আগমন। সেই আগমনের ক্ষণে প্রতিবারই পাপ মোচন হয় ধরণীর বুক থেকে। আলোকিত হয় মানবজাতি।

পাথরঘাটা ক্যাথলিক চার্চের ফাদার রিগ্যান ডি কস্টা বলেন, 'পরস্পরের সাথে যেন সৌহার্দ্য বজায় থাকে। সকলেই যেন মিলেমিশে চলতে পারি। যেরকম প্রভু যিশু শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছিলেন।'

নির্বাচনের আগে বড়দিনের আয়োজনকে ঘিরে এবার নগরের গির্জাগুলোতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি উপস্থিতি।