জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্ব এখন টিকে থাকার লড়াইয়ে উপনীত। সম্প্রতি, কপ সম্মেলনে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর বিষয়ে চুক্তি হয়। তেল উৎপাদন পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে পরিবেশ কর্মীরা। তবে অবাক করার বিষয় হলো, যুক্তরাষ্ট্রে তেলের উৎপাদন উল্টো বাড়ানো হয়েছে।
মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলছে, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে তেলের উৎপাদন। গত মাসে দেশটিতে দৈনিক উৎপাদিত তেলের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৩২ লাখ ব্যারেল। যা এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ উৎপাদন।
২০২০ সালের শুরুতে দৈনিক উৎপাদন রেকর্ড ১ কোটি ৩১ লাখ ব্যারেল হয়েছিল। করোনা মহামারি ও তেলের দামে বড় ধরনের পরিবর্তন আসায় উৎপাদন কমিয়ে দেয় দেশটি। এখন উৎপাদন আবার বাড়ানো হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম টেক্সাস ও নিউ মেক্সিকো এলাকায় উৎপাদিত অতিরিক্ত তেল এখন রপ্তানি করা হচ্ছে অন্যান্য দেশে। সৌদি আরব ও রাশিয়ার মতো অপরিশোধিত তেল, পরিশোধিত পণ্য ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানি করছে যুক্তরাষ্ট্র।
জ্বালানি বাজারের তথ্য নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান র্যাপিডান এনার্জি গ্রুপ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে কাছে এখনো তেলের প্রচুর মজুত আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দেখাদেখি কানাডা, ব্রাজিলসহ ওপেকের বাইরের দেশগুলো তেলের উৎপাদন বাড়িয়েছে। এদিকে, লোহিত সাগরে চলাচল করা জাহাজে হুতিদের আক্রমণের ভয়ে বিশ্বজুড়ে তেলের দাম বাড়ার শঙ্কা দেখা দেয়।
এ সুযোগে ওপেকভুক্ত দেশগুলো চেষ্টা করছে উৎপাদন কমিয়ে, তেলের দাম বাড়ানোর। তবে বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহে ঘাটতি নেই। তাই খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না তারা।
র্যাপিডান এনার্জি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট বব ম্যাকনালি বলেন, 'আগামী কয়েক বছর তেলের চাহিদা বাড়বে। ওপেকের বাইরের দেশগুলো থেকে প্রচুর তেল উৎপাদন হবে। তাই বিশ্ববাজারে তেলের দাম ধরে রাখতে ওপেকভুক্ত দেশগুলোকে ধৈর্য্য ধরে খুব সতর্কতার সঙ্গে বিনিয়োগ করতে হবে। যাতে করে তাদের বিনিয়োগের অর্থ ফেরত আসে।'
যুক্তরাষ্ট্রের তেল উৎপাদন মূলত বাজারের চাহিদা-যোগানের উপর নির্ধারিত হয়। এখানে সরকার তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না।





